বিশ্বকাপ চলাকালীন ভারতীয় খেলোয়াড়দের ফ্যাশন শো
এবারের আসরের শুরু থেকেই দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে চলেছে স্বাগতিকরা। বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় দাবিদার তারাই। ছন্দে থাকলেও কোনো দলকেই সহজভাবে নেননি রোহিত-কোহলিরা। বরং মানসিক চাপ কমিয়ে হালকা থাকতে তারা ফ্যাশন শো-তেও অংশ নিয়েছেন।
যদিও এই ফ্যাশন শো-এর ঘটনাটি আরও বেশ কয়েকদিন আগের। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে এই শো করেছেন ভারতের খেলোয়াড়েরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে আগেরদিন (গতকাল) নিজেই এই তথ্য দিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই দেশবাসী ও সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ রয়েছে পুরো দলের ওপর, দেশের হয়ে আরেকটি বিশ্বকাপ অর্জন করবেন এই স্বপ্নে বিভোর রোহিতের দল। তাই চাপ কিছুটা কমাতে বিনোদন হিসেবেই এই ফ্যাশন শো-এর কাজটি করা।
প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই সতীর্থদের চাপ মুক্ত রাখতে চেয়েছেন অধিনায়ক রোহিত। যা হওয়ার হয়ে গেছে, ভবিষ্যতে যা হওয়ার সেটিই হবে। নিজেদের শুধু সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। এমনটা মনে করেই তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা যা করছি সম্মিলিত ভাবে। আমরা সবাই এক সঙ্গে চেষ্টা করছি। এক বা দু’জন ভালো খেললে হয় না। আমাদের সাপোর্ট স্টাফরাও নিজেদের সেরাটা দিচ্ছেন। সবার মধ্যে ভালো বোঝাপড়া রয়েছে। ধর্মশালায় নিউজ়িল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার পর আমাদের একটা গোপন ফ্যাশন শো হয়েছিল। যার কথা কেউ জানে না। আমাদের দলের পরিবেশ এবং বোঝাপড়া এমনই।’’
প্রত্যাশার চাপ সামাল দিয়ে দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রোহিত বলেন, ‘‘দেখুন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ের সময় এই দলের কেউ জন্মায়নি। ২০১১ বিশ্বকাপের সময় দলের প্রায় অর্ধেক ছেলেরা ক্রিকেট খেলত না। তাই কবে কীভাবে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, তা ভেবে এখন কী লাভ? আমরা কীভাবে চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, সেটা নিয়ে ভাবছি। এটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’’
‘‘এই চাপ থাকবেই। এমন প্রতিযোগিতায় সবার চোখ আমাদের দিকে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। দল ভালো ক্রিকেট খেলবে, সবাই এটাই চায়। আমাদেরও সেটাই লক্ষ্য। এখনও পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় আমরা ভালোই করেছি। কিন্তু এটাও ঠিক সামনের এক সপ্তাহ আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের মানসিকতার বদল হচ্ছে না। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই একটাই লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি আমরা।’’- এমনটা বলে আগাম হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন 'হিটম্যান' রোহিত।