সেমিতে বাদ পড়তে পারেন যারা
প্রথম পর্বের ৪৫টি ম্যাচ শেষে শীর্ষের চারটি দল জায়গা করে নিয়েছে সেমিফাইনালে লড়াই করার। মুম্বাইয়ে প্রথম সেমিতে আজ মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। আগামীকাল কলকাতার মাঠে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। তবে চোট সমস্যার কারণে প্রতি দলেরই কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার বাদ পড়তে পারেন সেমির ম্যাচগুলো থেকে।
টেম্বা বাভুমা: এবারের আসরে দল দাপুটে খেলা প্রদর্শন করলেও প্রোটিয়ান অধিনায়ক বাভুমা আশানুরূপ খেলা প্রদর্শন করতে পারেননি। ৭ ম্যাচে তিনি মাত্র করেছেন ১৪৫ রান। হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে তার। ম্যাচের পূর্বে পুনরায় তার চেকাপ করে জানানো হবে যে তিনি ম্যাচটি খেলার জন্য উপযুক্ত কিনা। যদিও তিনি অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
মার্কাস স্টয়নিস: অজি এই অলরাউন্ডার এবারের আসরে দলের হয়ে বেশ ভালোই ভূমিকা পালন করেছেন। দলের বিপদের সময়ে তার মিডিয়াম পেস বোলিং অথবা লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং দিয়ে তিনি দলকে উদ্ধার করেছেন। এবারের আসরে তার সংগ্রহ ৬ ম্যাচে ৮৭ রান এবং বল হাতে তুলে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে তিনিও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রয়েছেন অনিশ্চিত।
মার্ক চ্যাপম্যান: পায়ের মাংসপেশিতে টানের কারণে তিনি আসরের প্রথম পাঁচটি ম্যাচের পর আর খেলতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচও তিনি খেলতে পারেননি। তবে দল আশা করছে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে তাকে একাদশে পাওয়া যাবে।
লুঙ্গি এনগিডি: প্রোটিয়ান এই গতিদানবের সাথে চোট সমসময়ই ছায়ার মতো লেগে ছিল, এবারের বিশ্বকাপ আসরেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে পায়ের গোড়ালিতে চোট পান তিনি। ফর্ম ভালো থাকলেও চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিতে একাদশে নাও দেখা যেতে পারে তাকে।
মিচেল স্টার্ক: এবারের বিশ্বকাপ আসরটি আশানুরূপ কাটেনি অন্যতম সেরা এই অজি পেসারের। ৮ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি, যা তার সামর্থ্যের থেকেও অনেক কম বলে স্বীকার করেছেন তিনি নিজেই। টানা আটটি ম্যাচ খেলার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় তাকে। ২০২৩ এর অ্যাশেজ খেলার সময় থেকেই কাঁধের চোটে আক্রান্ত তিনি। চোট কাটিয়ে উঠেই ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে চলে আসেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চোটের কারণে যদি তিনি না খেলতে পারেন তাহলে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সেটি হতে পারে বিপদের কারণ।