শেষ সেশনে ৭ উইকেট তুলে ভারতকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
উইকেটে জমে গিয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল আর ঋষভ পান্ত। দ্বিতীয় সেশনের শেষে ভারতের হাতে ছিল ৭ উইকেট। প্রয়োজনীয় ২০০ রানকে দূর দ্বীপবাসিনী বনে হলেও, ড্র টাকে তখন খুব সম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল। ভারতও এগোচ্ছিল সে হিসেব মাথায় রেখেই।
তবে সব হিসেব ওলটপালট করে দিল শেষ সেশনটা। চোখের পলকে ৭ উইকেট খুইয়ে বসল ভারত। আর তাতেই ১৮৪ রানে জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, সিরিজে এগিয়ে গিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।
৩৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে থাকা ভারত ১১২ রানে ৩ উইকেটে ছিল শক্ত অবস্থানে। যশস্বী জয়সওয়াল এবং ঋষভ পান্তের ৮৮ রানের জুটি দলকে ভরসা দিয়েছিল। তবে পান্তের হঠাৎ আক্রমণাত্মক শট খেলার চেষ্টা বিপর্যয়ের শুরু করে। ট্রাভিস হেডের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে তিনি আউট হন ৩০ রানে। এরপর ভারতের ইনিংস দ্রুতই ধসে পড়ে।
অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা দুর্দান্ত বল করে ভারতকে চাপের মুখে ফেলে। প্যাট কামিন্স এবং স্কট বোল্যান্ড নেন ৩টি করে উইকেট, আর স্পিনার ন্যাথান লায়ন দখল করেন ২টি উইকেট। বোল্যান্ডের গতিময় বোলিংয়ে রবীন্দ্র জাদেজা এবং আকাশ দীপ দ্রুত বিদায় নেন।
নাটকীয় মুহূর্ত আসে যখন কামিন্সের বলে যশস্বী জয়সওয়ালকে ক্যাচ আউট দেওয়া হয় রিভিউর মাধ্যমে। ‘আল্ট্রা এজ’ প্রযুক্তিতে ছোঁয়ার প্রমাণ না পাওয়া গেলেও ব্যাট পার করার পর বলের দিক বদল দেখে তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত আউটের সিদ্ধান্ত দেন। এতে ক্ষুব্ধ হন জয়সওয়াল, মাঠ ছাড়তে অস্বীকৃতির ছাপ ছিল তার দেহভাষ্যে। ঠিক তখন দর্শকদের একাংশ ‘চিটার! চিটার!’ স্লোগান দিতে থাকে।
শেষ উইকেট হিসেবে জসপ্রিত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সিরাজের সামনে অসম্ভব কাজ ছিল ৪০ মিনিট টিকে থাকা। তবে ন্যাথান লায়নের বলে সিরাজ এলবিডব্লিউ আউট হলে ম্যাচ শেষ হয়।
এর আগে সকালে প্যাট কামিন্স এবং মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের টপ অর্ডার ধসে পড়ে। রোহিত শর্মা এবং লোকেশ রাহুল শূন্য রানে আউট হন, আর বিরাট কোহলি মাত্র ৫ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের মধ্য দিয়ে সিরিজের নাটকীয় সমাপ্তি ঘটলো মেলবোর্নে, আর চূড়ান্ত ম্যাচটি এখন সিডনিতে। সিরিজ ড্র আর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এখন শেষ ম্যাচে জিততেই হবে ভারতকে।