বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের হস্তান্তর আরও পেছাল
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে হস্তান্তরের সময়সীমা আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশন এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে।
দেশের প্রধান বহুমুখী ক্রীড়া ভেন্যুটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ৯৮.৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারের কাজ শুরু করে। প্রথমে কাজটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা থাকলেও, বাজেট সংশোধনের বিলম্বে খরচ ৬০ কোটি টাকা বেড়ে যাওয়ায় সময়সীমা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এনএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ সোহেল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশন গতকাল (মঙ্গলবার) প্রকল্পের সময়সীমা ছয় মাস বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। আশা করছি, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না ঘটলে এই সময়ের মধ্যেই সব কাজ শেষ করতে পারব।’
দ্বিতীয়বার সময়সীমা পূরণে ব্যর্থতার বিষয়ে সোহেল জানান, বিভিন্ন কারণ রয়েছে যা তারা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশনকে ব্যাখ্যা করেছেন। বাফুফে কর্মকর্তারা স্টেডিয়াম ব্যবহারের বিষয়ে কয়েকটি সভা করেছেন। ৯ অক্টোবর এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বিএফএফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এনএসসিকে আজ (বুধবার) একটি চিঠি পাঠিয়েছি, যাতে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই মাঠ, ড্রেসিং রুম ও মিডিয়া সেন্টার হস্তান্তরের অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ম্যাচগুলো এখানে আয়োজন করতে চাই। এছাড়া ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে নারী দলের দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফিরিয়ে আনতে চাই।’
সোহেল জানিয়েছেন, ’দুইটি প্রধান কাজ বাকি রয়েছে—পশ্চিম গ্যালারির উপর শেড স্থাপন এবং ফ্লাডলাইট লাগানো। মিডিয়া সেন্টার প্রায় প্রস্তুত এবং গ্যালারি ও ভিআইপি বক্সের চেয়ারের কাজ শেষ।’
ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ফ্লাডলাইট ইনস্টল করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। ফ্লাডলাইটের বাল্ব কয়েক দিনের মধ্যে ভেন্যুতে পৌঁছানোর কথা আছে।