রশিদের রেকর্ডে জিতল আফগানিস্তান
বুলাওয়েতে রীতিমতো রাজত্ব করেই জিতল আফগানিস্তান। সোমবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তুলে নিল ৭২ রানের জয়। ১১ টেস্টে এনিয়ে চতুর্থ জয় আফগানদের। দুই টেস্টের সিরিজটি আফগানিস্তান জিতে নিল ১-০ ব্যবধানে। প্রথম টেস্টটি ড্র হয়।
এ সিরিজের মধ্য দিয়েই প্রায় চার বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে ১১ উইকেট শিকার করেন রশিদ খান।
আফগানদের জয়ের নায়ক রশিদ রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে ৬৬ রানে তুলেন ৭ উইকেট। দলটির হয়ে টেস্টের এক ইনিংসে যা সেরা বোলিংয়ের কীর্তি। ক্যারিয়ারে এনিয়ে দ্বিতীয়বার ইনিংসে ৭ উইকেট পেলেন এই লেগ স্পিনার।
কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ৭৪ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নামা রশিদ খান প্রথম ওভারেই রিচার্ড এনগারাভাকে আউট করতে পারতেন, যদি অধিনায়ক হাসমাতুল্লাহ শাহিদি দৌড়ে এসে ক্যাচটি মিস না করতেন। তবে এটি তেমন পার্থক্য তৈরি করেনি, কারণ পরবর্তী ওভারেই রান নেওয়ার সময় ক্রেইগ এরভিনের সাথে ভুল যোগাযোগের কারণে রান আউট হন এনগারাভা।
এরভিন যিনি পঞ্চম দিনে জিম্বাবুয়েকে টিকিয়ে রেখেছিলেন, তবে রশিদ খান তাকে লেগ বিফোর আউট করেন। তাতে রশিদ দ্বিতীয় ইনিংসে সপ্তম উইকেট তুলে নিলে আফগানিস্তানকে তাদের কাঙ্খিত জয় এনে দেন।
রশিদ খান শেষ দুই দিনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনে ধ্বস নামানোর আগে, আফগানিস্তান রহমত শাহ (১৩৯) এবং ইসমত আলমের (১০১)সেঞ্চুরির উপর ভর করে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকার পরও স্বাগতিদের ঘরের মাঠে লড়াকু পুঁজি তুলে নেয়।
এ সিরিজের মধ্য দিয়ে ছয় টেস্টের ক্যারিয়ারে রশিদ খানের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৪৫ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ১৫৭/১০
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৪৩/১০
আফগানিস্তান ২য় ইনিংস: ৩৬৩/১০
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৬৮.৩ ওভারে ২০৫/১০ (আরভিন ৫৩, এনগারাভা ৩*;জিয়া ১৫-১-৪৪-২, রশিদ ২৭.৩-৩-৬৬-৭)
ফল: আফগানিস্তান ৭২ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: রশিদ খান
সিরিজ: ২ টেস্টের সিরিজ ১-০ তে জয়ী আফগানিস্তান
সিরিজসেরা: রহমত শাহ