১২,৫০০ নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের আয়োজন করতে গিয়ে পাকিস্তানকে যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য শুনতে হয়েছে তা হলো সফরকারী দলগুলোর খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা। এককভাবে আয়োজন করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ভারতের আপত্তির মুখে দুবাইকে সাথে নিয়ে হাইব্রিড মডেলে মাঠে গড়াচ্ছে এবারের আসর। যেখানে ভারতের সব ম্যাচ হবে দুবাইয়ে। ভারত না গেলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে ঘিরে আলাদা নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পিসিবির সুত্র জানাচ্ছে, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজনকে সামনে রেখে পুরো আসরের নিরাপত্তায় ১৭ হাজারেরও বেশী নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে। জানা গেছে, স্টেডিয়াম, হোটেল ও দলগুলোর নিরাপত্তার জন্য ১২,৫০০ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হবে। যেখানের সাড়ে ৭ হাজার নিরাপত্তারক্ষীকে তৈরি রাখা হবে শুধুমাত্র স্টেডিয়ামগুলোর নিরাপত্তার জন্য। নিরাপত্তা বাহিনীর বাকি সদস্যরা খেলোয়াড়দের হোটেলে নিরাপত্তা দেবেন।
দীর্ঘ ২৯ বছর বিরতির পর নিজেদের মাটিতে আয়োজিত হতে যাওয়া এ আসরে নিরাপত্তার কোনো কমতি রাখতে চাচ্ছে না পিসিবি। তাই নিরাপত্তা দলের সঙ্গে উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম্যান্ডোরাও থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছে পাক বোর্ড। আর এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব প্রদেশের সরকার নিরাপত্তা পাকা করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির হোটেল ও মাঠে কী রকম নিরাপত্তা থাকবে তার প্রস্তুতিও শুরু পথে জানিয়েছে বোর্ড।
সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে আইসিসির আর্ন্তজাতিক টুর্ণামেন্ট হয়েছিল পাকিস্তানে। তার পরে ২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব প্রথমে তাদের দেওয়া হয়। কিন্তু আঞ্চলিক নিরাপত্তার কারণেই পাকিস্তানের বদলে বাংলাদেশকে দায়িত্ব দেয় বিশ্ব ক্রিকেটের সবোর্চ্চ নিয়ন্ত্রক এ সংস্থাটি।
২০২৩ সালে এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল পাকিস্তান। তবে ওই সময় ভারত যেতে না চাওয়ায় সেবারও হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তানের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় খেলা হয়। আর তার পরেই ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোনো আর্ন্তজাতিক আসরের আয়োজন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান।