বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরের আগে বেশ বড় জোরে শোরে সেরা বিপিএল আয়োজন করার কথা বলেছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের পর্ষদ। তবে সেই কথাটাকে মিথ্যা প্রমাণ করতেই উঠে পড়ে লেগেছে বিপিএলের এবারের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। পারিশ্রমিক যথাসময়ে না পেয়ে ম্যাচ বর্জনের ঘটনাও ঘটেছে এবারের বিপিএলে। আর এবার সে বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউসিএ) প্রধান নির্বাহী টম মোফাট।

খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকে ঠিক সময়ে না দেওয়া নিয়ে ডব্লিউসিএ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বকেয়া পারিশ্রমিকের বিষয়টা বারবার শুনতে পাওয়া হতাশার, কয়েক বছর ধরেই এ নিয়ে বিপিএল বারবার দোষী হচ্ছে।’

এ সময় মোফাট আরও বলেন, ‘এই সমস্যাগুলো অগ্রহণযোগ্য, তারা (বিপিএল) উন্নতি করতে পারছে না, আর টুর্নামেন্টের প্রচার-প্রসার ঘটে খেলোয়াড়দের জন্যই। যেকোনো লিগে এটা আনুষ্ঠানিকভাবেই ঠিক করা যে, চুক্তিপত্রে কিছু মৌলিক সুরক্ষা এবং ন্যূনতম মান বজায় রাখার বিষয়ে খেলোয়াড়েরা আত্মবিশ্বাসী থাকবে এবং সেগুলো ভালোভাবে কার্যকরও করা যাবে।’

এসময় তিনি বিপিএলের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘এ মুহূর্তে এমন আন্তর্জাতিক ইস্যু সমাধানের মতো সক্ষমতায় নেই খেলাটি। এ বছরের বিশ্বের নেতৃস্থানীয় খেলা হিসেবে দাবি করতে চাইলে এসব পাল্টাতে হবে।’

খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে বিপিএলকে বেশ ভোগাচ্ছে এবারের আসরের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দুর্বার রাজশাহী। পারিশ্রমিক না পেয়ে দেশীয় খেলোয়াড়রা অনুশীলন বর্জনের পর গত ম্যাচে দলটির বিদেশী খেলোয়াড়রা ম্যাচ বর্জন করেন। তাতে বেশ নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএলে পেমেন্ট ইস্যুতে রাজশাহীর টালবাহানার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।

বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর দায়সারা কর্মকান্ড নিয়ে গণমাধ্যমকে মিঠু বলেন, ‘আমাদের তাদের বিরুদ্ধে এখন আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। টাকা দিতেই হবে নতুবা আমাদের বিপিএলের সম্মান নষ্ট হবে। চুক্তিভিত্তিক দায়বদ্ধতার জায়গায় চেক ডিজঅনার এবং অন্য যেসব নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে সেসব ব্যাপার খুঁজে বের করা হবে দ্রুতই এবং কাজের মাত্রা অনুযায়ী সকল ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হবে। বোর্ড তাদেরকে যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু তারা সকল লিমিট ছাড়িয়ে গিয়েছে।’

অবশ্য এর আগেও বিপিএরে পারিশ্রমিক নিয়ে বিতর্ক হয়েছিলো। ২০১২ ও ২০১৩ সালে বিপিএলের প্রথম দুই সংস্করণেও খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বকেয়া ছিল। অনেক খেলোয়াড়ই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো থেকে ঠিকমতো পারিশ্রমিক পাননি। সেসময় এক মৌসুমের জন্য টুর্নামেন্টটি স্থগিতও করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।