সাকিব-লিটনদের ওপর বিরক্ত বিসিবি, ভবিষ্যৎ ভাবছে তাদের বাদ দিয়ে
এক বিশ্বকাপের শেষ মানে আরেক বিশ্বকাপের ছক কষা শুরুর সময়, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সময়। তবে এবারের বিশ্বকাপ বাংলাদেশকে নতুন প্রশ্নের সামনেও দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, নতুনরা আদৌ সে চাপটা নিতে প্রস্তুত তো? পারফর্ম যা করেছেন, তা তো সব সিনিয়ররাই!
তবে এ ছাড়াও প্রশ্ন আছে আরও। সেটা উঠে আসছে বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ড সিরিজের শুরুতে। সাকিব আল হাসান আর তাসকিন আহমেদ নেই চোটের কারণে। তার ওপর পারিবারিক কারণে লিটন দাসও নেই এই সিরিজে।
লিটনের ছুটি নিয়ে বিসিবিতে অসন্তোষ আছে বেশ। লিটন চেয়েছেন আগামী এক মাস নিবিড়ভাবে তার সদ্যোজাত সন্তান আর স্ত্রীকে সময় দিতে। বিসিবির চাওয়া ছিল প্রথম টেস্টটা ছুটি নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টটা যেন খেলেন লিটন।
চোটের কারণে সাকিব তাসকিন নেই এই সিরিজে। তাই দলে সিনিয়রদের উপস্থিতি বাড়াতে এই চাওয়া ছিল বিসিবির। কিন্তু লিটন তাতে সম্মত হননি।
বোর্ড চটেছে এখানেই। বিসিবির এক পরিচালক স্পোর্টস বাংলাকে বলেন, ‘ছুটি যে কেউ চাইতে পারে, কিন্তু দেশের কথাও তো ভাবতে হবে, দলের কথাও ভাবতে হবে; তোমার দল খেলছে এখানে। ভারতের দিকে তাকাও, কোহলিদের দিকে তাকাও, তাদের প্রথম প্রায়োরিটিটাই থাকে ক্রিকেট; কারণ এটা ওদের রুটিরুজি।’
এছাড়াও বিশ্বকাপ চলাকালে তার আচরণ ভালো চোখে দেখেনি বোর্ড। শুধু তিনি নন, দলের প্রতি নিবেদন, আচরণ, পারফর্ম্যান্সের কারণে বোর্ড দলের বাকি সিনিয়রদেরও রাখছে না নিজেদের গুডবুকে। সে কারণেই দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তটা আরও একটু ভেবেই নিচ্ছে বিসিবি। শান্তকে অধিনায়ক করা হয়েছে, সেটা শুধুমাত্র এই সিরিজের জন্যই। সে পরিচালক বলেন, ‘শান্ত যেহেতু সবশেষ ম্যাচে অধিনায়ক ছিল, তার সঙ্গে দলের বোঝাপড়াটা ছিল, সে কারণেই অধিনায়ক করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী ভাবনা আমরা এখনও ভাবিনি। এটা শুধু এই সিরিজের জন্য।’
তবে দীর্ঘমেয়াদী ভাবনাটা সিনিয়রদের ছাড়াও হতে পারে, ইঙ্গিত দিয়েছেন সে পরিচালক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি এদের (সিনিয়রদের) বাদ দিয়ে দল বানাই, তাহলে আরও ভালো দল হবে দেখবেন।’ সেটা হয়ে গেলে আগামী কিছু দিনে বড় পরিবর্তনই আসতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে।