রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে ফাইনালে চিটাগং
রীতিমতো নাটকীয়তা ছড়ানো এক ম্যাচ। শেষ ওভারে জিততে চাই ১৫ রান। হাতে ৩ উইকেট। তখনই কীনা রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যাচটা টিকে ছিল শেষ বল অব্দি। জিততে চিটাগংয়ের শেষ বলে চাই ৪ রান। মুশফিক হাসানের বলে শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে বিপিএলের ফাইনালে নিয়ে গেলেন আলিস আল ইসলাম! স্বপ্ন ভেঙে বিদায় নিল খুলনা টাইগার্স।
২ উইকেটের জয়ে চিটাগং ফাইনালে। শুক্রবার ছুটির দিনে বিপিএলের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস।
আজ বুধবার মিরপুরে ফাইনালে ওঠার ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৬৩ রান তুলে খুলনা। জবাবে নেমে শেষ বলে জয়ের বন্দরে পা রাখে চট্টগ্রাম।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে নামা পাকিস্তানের খাজা নাফার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পদে মেহেদী হাসানের দল। চারে নামা হোসাইন তালাত আর নাফাইয়ের ব্যালেন্স ব্যাটিংয়ে ১১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান পার করে চিটাগাং কিংস। তবে ১২ ওভারের শুরুতে নাসুম আহমেদের বলে ২৫ বলে ৪০ রান করে মাঠ ছাড়েন তালাত। এরপর খাজা করে ৫৭। শেষ দিকে ৭ বলে ১৭ রান তুলে জেতান দলকে।
এদিন মিরপুরে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তুলে খুলনা টাইগার্স।
শুরুতে কিছুটা খাপছাড়া থাকলেও শিমরান হেইমায়ার আর মাহিদুলের জুটিতে ভর করে লড়াকু পুজি সংগ্রহ করে উত্তরাঞ্চলের দলটি। ১৮ ওভারের শুরুতে শরীফুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ৪১ রানের ইনংস খেলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এরপর জেসন হোল্ডারকে নিয়ে দলের সংগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করলেও ১৮ ওভারের শেষ বলে বিনুরা ফার্নেন্দুর বলে আউট হন হেইমায়ার। তার ৩৩ বলে ৬৩ রানের জড়ো ইনিংস দিয়ে মনোবল ফেরানো সংগ্রহ করে টাইগার্সরা।
যেখানে ৬টি চার ও ২টি বাউন্ডারি দিয়ে ইনিংস সাজিয়েছেন হেইটমায়ার। আর হোল্ডার ৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। কিংসের হয়ে বল হাতে ২ উইকেট তুলে নেন বিনুরা ফার্নেন্দু। আর ১ টি করে উইকেট তুলে নেন শরীফুল ইসলাম,আল ইসলাম, খালেদ মাহমুদ ও আরাফাত সানি।