ফাইনালের আগে আয়োজকদের দিকে আঙুল তুললেন তামিম
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এ গত দুই আসরে ফাইনালের আগে আয়োজকদের ছিল ভিন্ন ধরণের পরিকল্পনা। ২০২৩ বিপিএলে ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম ট্রফি নিয়ে মেট্রোরেলে ছবি তুলেছিলেন। গত আসরেও আহসান মঞ্জিলকে বেছে নেওয়া হয়েছিল এ কাজের জন্য। তবে ফাইনালের আগে এমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি আয়োজক কর্তৃপক্ষ। ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল কর্তৃপক্ষের এমন কাজকে পরিকল্পনার অভাব বলে জানালেন।
আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর ১১তম আসরের ফাইনাল। মুখোমুখি হবে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। ফাইনালের আগে গত দুই আসরের মত বড় পরিসরে ফটোসেশন হয়নি এবার।
গত দুই আসর ফটোসেশন নিয়ে তামিম বলেন, ‘গত বারও ফটোসেশন হয়েছিল। তবে পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল। আগের দিন সেমিফাইনাল খেলে পরেরদিন ফটোসেশনে যাওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব ছিল।’
২০২৪ বিপিএলেও বরিশালের অধিনায়ক ছিলেন তামিম। আরেক ফাইনালিস্ট কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ছিলেন লিটন কুমার দাস। তবে তারা দুজনের কেউ ই যাননি ফটোসেশনে। তাদের প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক।
এই বিষয়ে তামিম বলেন,‘গতবার ফটোসেশনে মিরাজ ও জাকের আলী অনিক গিয়েছিল। তবে যাওয়া উচিত ছিল আমার এবং লিটন দাসের। আমাদেরও তো দোষ আছে। আমরা সেই জিনিসটা করিনি।’
বিপিএলের আয়োজকদের অপেশাদারিত্ব নিয়েও কথা বলেছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ভবিষ্যতে এই টুর্নামেন্টকে ভালো করতে যোগ্য মানুষগুলোর সঠিক নির্দেশনায় কাজ করা উচিত। আপনার ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে। তবে আপনার উদ্দেশ্য যদি সৎ না হয়, সেই ৫০ বছর অভিজ্ঞতার কোনো মূল্য থাকে না। নতুন চিন্তাভাবনা আছে, এমন কাউকে আনা উচিত।’
তামিমের সংবাদ সম্মেলনের পরই নড়চড়ে বসেছে বিসিবি। বিকেল সাড়ে ৫টায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, আজ সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় বনানীর শেরাটনে হবে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন।