বিদায়ী সংবর্ধনায় সাকিব-মাশরাফিকে নিয়ে যা বললেন তামিম
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বকালের সেরাদের তালিকা করলে তামিম ইকবাল,সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মর্তুজার নাম থাকবে উপরের সারিতে। এক যুগেরও বেশি সময় দেশের ক্রিকেটকে দুহাত ভরে দিয়েছেন তারা। বিপিএল ফাইনালে তামিমের বিদায়ী সংবর্ধনায় সেসবের স্মৃতিচারণ করেছেন তামিম।
তবে নিজেদের মাঝে তৈরী হওয়া দ্বন্দ্ব নিয়েও কথা বলতে ভোলেননি তামিম। বিশেষ করে সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্ব বারবার গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। গণমাধ্যমের তিলকে তাল করা কিংবা নিজেদের মাঝে সামান্য দ্বন্দ্বও অনেক কারণে দূরে ঠেলে দিয়েছে দুই সতীর্থকে।
সাকিব-তামিম নাম নিলেই কেমন যেন দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় দেশের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুজনের সমর্থকের মাঝে চলে কথার লড়াই। তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন কিছুদিন হলো। রাজনৈতিক কারণে সাকিবের দেশের হয়ে খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। নিজেদের শেষ বেলায় এসে বিচ্ছেদ ভাঙার আভাস দিয়েছেন তামিম।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফাইনালের পর তামিমকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিদায়ী সংবর্ধনায় তামিম ইকবালের হাতে তুলে দেওয়া হয় তার ক্যারিয়ারের দীর্ঘ পরিসংখ্যান সম্বলিত একটি স্মারক জার্সি এবং ক্রেস্ট।
এসময় তামিম তার বক্তব্যে সাকিব ও মাশরাফির কথা উল্লেখ করে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন,‘কোনো তামিমিয়ান নেই, কোনো সাকিবিয়ান নেই, কোনো মাশরাফিয়ান নেই। শুধু একটা জিনিস আছে, আর সেটা হলো বাংলাদেশ। এই বিষয়গুলো তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেয়। দয়া করে এসব বন্ধ করুন। এটাই আমার শেষ কথা।’
তামিম আরও বলেন,‘আপনি আমার ভক্ত হতে পারেন, সাকিবের ভক্ত হতে পারেন কিংবা মাশরাফির ভক্ত হতে পারেন। কিন্তু যখন দল খেলবে, তখন বাংলাদেশের ভক্ত হন। আপনার দলকে সমর্থন করুন, এটা আপনারই দল। দয়া করে সবাই একসঙ্গে থাকুন।’
২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর তিন সংস্করণ মিলে তামিম বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮৭ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ৯৪ ফিফটি ও ২৫টি সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ১৫১৯২। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান এখনও তার দখলে। ২৪৩ ম্যাচে করেছেন ৮৩৫৭ রান।