চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
পাকিস্তানের মাঠে খেলা হলে নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি চিন্তা থাকে সফরকারী দলগুলোর। ১৯৯৬ এর পর পাকিস্তানের মাটিতে আইসিসির বড় কোনো ইভেন্ট আয়োজিত হয়নি। অবশেষে প্রায় তিন দশক পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে ফিরতে যাচ্ছে আইসিসির বড় কোনো আসর।
এত বড় ইভেন্টকে সামনে রেখে উদ্দীপনার কমতি নেই পাকিস্তান ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে । কোনো কিছুর কমতি রাখছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি)। মাঠ সংস্কার থেকে শুরু করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাইছে পিসিবি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী ও রেঞ্জার্স মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। পাকিস্তানের এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে মন্ত্রিসভা থেকে সেনাবাহিনী ও রেঞ্জার্স মোতায়েনের অনুমোদন পাওয়া গেছে।
তবে এত আয়োজনের মাঝেও পাকিস্তানের প্রস্তুতি নিয়ে হচ্ছে সমালোচনা। সমালোচনার দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে ভারতীয় মিডিয়া। স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কারের বিলম্বতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গণমাধ্যমগুলো। তবে সে সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে পিসিবি। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসীন নকভী জানিয়েছেন,এই বৈশ্বিক আসর আয়োজনের জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের আয়োজক পাকিস্তান। সবগুলো ম্যাচ আয়োজন করার কথাও ছিল পাকিস্তানের। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। যে কারণে এবারের আসর হবে হাইব্রিড মডেলে। যেখানে ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজিত হবে দুবাইয়ে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে।