রেকর্ডের তোয়াক্কাই করেননি রোহিত

রেকর্ডের তোয়াক্কাই করেননি রোহিত

বিশ্বকাপে রোহিতের নামের পাশে ছয় হাফসেঞ্চুরি আর তিন সেঞ্চুরি আপনি দেখতেই পারতেন। অর্থাৎ নয়টা ফিফটি প্লাস ইনিংস। অন্তত এক সেঞ্চুরির সাথে আটটা ফিফটি তো হতেই পারতো। কিন্তু সেখানে নামের পাশে দেখাচ্ছে তিন ফিফটি আর এক সেঞ্চুরি। অর্থাৎ চারটা ফিফটি প্লাস ইনিংস। চাইলে এবারও নামের পাশে অনায়াসেই ৬০০ রান তুলে ব্যাক টু ব্যাক দুই আসরে এই রান তোলার কীর্তি গড়তেই পারতেন।

রোহিত এবার যেভাবে খেলেছেন তাতে তার ব্যাটিংয়ের মূল লক্ষ্যটাই ছিল ক্রিজে আসো আর মারতে থাকো। কোনো রেকর্ডের তোয়াক্কাই করা যাবে না। তাইতো পাঁচ ইনিংসে আউট হয়েছেন ৪০ এর ঘরে। তিনটা ফিফটি দুইটাই ছিল ৮৬ আর ৮৭।

এবারের বিশ্বকাপে রোহিত ফিফটি মিস করা ইনিংস গুলো ছিল বাংলাদেশের ৪০ বলে ৪৮। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০ বলে ৪৬। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৪ বলে ৪০। কিউইদের বিপক্ষে সেমিতে ২৯ বলে ৪৭ আর ফাইনালে অজিদের বিপক্ষে ৩১ বলে ৪৭। অর্থাৎ সব গুলো ইনিংসেই অল্প বলে বেশি রান করেছেন, চাইলেই এই অবস্থায় এসে রয়ে সয়ে খেললেই তুলতে পারতেন অর্ধশতক।

যে ইনিংস গুলোতে ফিফটি করেছেন সেগুলো ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৩ বলে ৮৬। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১০১ বলে ৮৭, যেটাতে পুরো দলই করেছে মাত্র ২২৯। সবশেষ ফিফটিতে খেলেছেন ৫৪ বল, করেছেন ৬১। দুইটা ইনিংসে চাইলেই কনভার্ট করতে পারতেন সেঞ্চুরিতে। কিন্তু রোহিতের লক্ষ্যই ছিল স্কোর বোর্ডে দ্রুত রান তোলা।

আফগানদের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দিন খেলেছিলেন ৮৪ বলে ১৩১ রানের ইনিংস। যেখানে শতকের দেখা পেয়েছেন মাত্র ৬৩ বলে। যখন ফিরছিলেন তখন দলের রান ২০৫।

অর্থাৎ আসর জুড়ে রোহিতের লক্ষ্য ছিল শুরু থেকেও চড়াও থাকবেন বোলারদের ওপর। যতক্ষণ থাকবেন শুধু মারতেই থাকবেন। যেটা সহজ করে দিয়েছে পরের দিকের ব্যাটারের কাজ। যেটার সুফলও পেয়েছে দল। বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার কাপ্তানের রান প্রায় ছয়শ স্ট্রাইক রেট একশো ছাব্বিশ। গড় প্রায় পঞ্চান্ন। ম্যাচ প্রতি বাউন্ডারি ৬ টা আর ছক্কা ৩ টা। উলট পালট করেছেন অনেক রেকর্ড।

সব মিলিয়ে রোহিত যেভাবে খেলেছেন সেটা নিয়ে আলোচনা হয়তো খুব একটা বেশি হয়নি। তবে ভারত ভূমিকা কিংবা ইমপ্যাক্ট দলকে দিয়েছে বাড়তি সুবিধা। ইন্ডিয়ার ডমিনেটিং ক্রিকেটে রেখেছেন অনেক বড় ভূমিকা।

সম্পর্কিত খবর