ব্যাটিং নৈপুণ্যে টুর্নামেন্ট সেরা কোহলি
এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে প্লেয়ার অফ দা টুর্নামেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন বিরাট কোহলি। তবে সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কারটি মলিন মুখে হাতে তুলেছেন তিনি, কারণ আকাঙ্ক্ষিত সোনালী ট্রফিটির এত কাছে যেয়েও ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়নি তাঁর।
বিশ্বকাপ ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হলেও ম্যান অফ দা টুর্নামেন্টের পুরস্কারটি দেওয়া শুরু হয় ১৯৯২ আসর থেকে।
এবারের বিশ্বকাপে শুরু থেকেই নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে গেছে রোহিত শর্মার দল। পুরো দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ই যেন নিজেদের সেরা সময়টা পার করছিলেন। অপরাজিত থেকেই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামে তারা। তবে ফাইনাল ম্যাচে ব্যাটিং দুর্দশায় লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ করতে পারেনি ভারত, যার ফলে খুব সহজেই জয় ছিনিয়ে নেয় অজিরা।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটি এই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই ফিফটি দিয়ে শুরু, শেষ ম্যাচে একই দলের বিপক্ষে আরেকটি ফিফটি তুলে নেন কোহলি। মাঝে তিনি পঞ্চাশের ঘর ছুঁয়েছেন আরও সাতবার, যার মধ্যে তিনটি রয়েছে সেঞ্চুরির ইনিংস। ব্যাট হাতে ঘরের মাঠে এভাবেই দাপট দেখিয়ে ম্যান অফ দা টুর্নামেন্টের পুরস্কার জিতেছেন ভারতীয় এই তারকা ব্যাটার।
ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক বিশ্বকাপ আসরে সাতশ রানের ঘরে প্রবেশ করলেন কোহলি। করেছেন ১১ ম্যাচে ৭৬৫ রান। ৯৫.৬২ গড় ও ৯০.৩১ স্ট্রাইক রেটে এই রান করার পথে তার রয়েছে ৯টি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসও, এক বিশ্বকাপে এটিও ইতিহাসে প্রথম। আগে সর্বোচ্চ ৭টি করে হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল শচীন টেন্ডুলকার ও সাকিব আল হাসানের।
এই বিশ্বকাপেই শচীনের সর্বোচ্চ ৬৭৩ রানের রেকর্ড এবং ৪৯টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছাড়িয়ে কোহলি নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন এক অনন্য উচ্চতায়। তবে এত রেকর্ডের ভীড়েও উঁকি দিচ্ছে কাঙ্ক্ষিত সোনালী ট্রফিটি হাতে না তুলতে পারার আক্ষেপ।