কেমন হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের একাদশ?
২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। তাই এবারের আসরে দলের কাছে ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদটা একটু উঁচুতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ইতোমধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। এত বড় একটা আসরের বড় ম্যাচে কেমন হতে পারে বাংলাদেশ দল?
ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসান তামিমের জায়গাটা পাকা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তামিম। তামিমের সঙ্গে ওপেন করবেন সৌম্য সরকার। ইনজুরির কারণ বিপিএলের প্রথম ম্যাচ গুলো মিস করলেও, শেষের দিকে ফর্মে ফেরার আভাস দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে পারভেজে হোসেন ইমনের অপেক্ষাটা একটু বাড়বে।
অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত খেলতে পারেন তিনে। বিপিএলে খারাপ খেলার কারণে দলে জায়গা না পেলেও ২০২৪ সালে ৫ ওয়ানডেতে ৭১ গড়ে শান্ত করেছেন ২৮৬ রান। চারে তাওহীদ হৃদয়ের খেলার জায়গাটাও পাঁকা।
অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্সের বিচারে দলের উইকেটকিপারের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে মুশফিকুর রহিমকে। সেক্ষেত্রে দলে জায়গা হারাতে পারেন আরেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলী অনিক।
ছয়ে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকছেন তা মোটামুটি নিশ্চিত। ২০২৪ সালে ৯ ওয়ানডে ইনিংসে ৪৮ গড়ে ৩৩৭ রান করেছেন রিয়াদ।সাত নাম্বার জায়গা বলতে গেলে পারফরম্যান্স দিয়েই নিজের করে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ব্যাটে-বলে সমান অবদান রেখে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেনে এই অলরাউন্ডার।
আটে খেলার দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে আছেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। এর আগের টি-টোয়োন্টি বিশ্বকাপে তার দারুণ পারফরম্যান্স এবং বিপিএল ফাইনালে ম্যাচজয়ী ইনিংস তাকে এগিয়ে রাখবে সবার থেকে।
বোলিং আক্রমণে তাসকিন আহমেদ প্রশ্নাতীতভাবেই থাকবেন। বিপিএলের এবারের আসরে ১২ ম্যাচে তাসকিন উইকেট নিয়েছেন ২৫ টি। যা বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কন্ডিশন বিবেচনায় তাসকিনের সঙ্গে বোলিং আক্রমণে দেখা যেতে পারে নাহিদ রানা ও মুস্তাফিজুর রহমানকে। সেক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হবে তানজিম হাসান সাকিবকে।
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ঠিক তার পরের দিন। ২০ ফেব্রুয়ারি শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা এবং তাসকিন আহমেদ।