এবাদতের পদোন্নতি চাইলেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সামি
বাংলাদেশ ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে অন্যতম এবাদত হোসেন চৌধুরী। উইকেট নেওয়ার পর তার ভিন্নধর্মী ‘স্যালুট’ উদযাপন বেশ সাড়া ফেলেছিল টাইগার ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে। পরবর্তীতে জানা যায় এবাদত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য ছিলেন। আর সে কারণেই তার এমন উদযাপন।
এবার এবাদত হোসেনকে নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশি অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং আল জাজিরার ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিটের সদস্য জুলকারনাইন সায়ের সামি। নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে এবাদতের পদোন্নতি দাবি করেন জুলকারনাইন।
তিনি লিখেছেন, ‘২০১৯ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হলেও, আজ থেকে এক যুগেরও বেশি সময় আগে এবাদত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স কনস্টুব্যলারি-তে (এমওডিসি) সাধারণ সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। একজন কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা এবাদতের নেই। তবে আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড় হিসেবে সম্মাননা এবং তরুণ প্রজন্ম'কে বাংলাদেশ এয়ারফোর্সে যোগদানে উৎসাহিত করতে এবাদতকে এয়ারফোর্সের সম্মানজনক অনারারি কমিশন অফিসার পদ দেওয়ার বিষয়টি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করতে পারেন।’
নিজের দাবিকে আরও জোরালো করতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের উদাহরণ টানেন সামি। তিনি লেখেন,‘আমাদের পাশের দেশ,ভারত ও পাকিস্তানের একাধিক ক্রিকেটাদের সশস্ত্র বাহিনী থেকে সম্মানজনক পদবী দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই সকল ক্রিকেটাররা সামরিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসেননি। এরপরও দেশের ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এবং পরোক্ষভাবে সামরিক বাহিনীতে যোগদান মোটিভেট করতে, ২০১০ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স শচীন টেন্ডুলকারকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদবী দিয়েছে। এর আগে কপিল দেবকে ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান আর্মির লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।’
সামি আরও লিখেছেন,‘পাকিস্তান পুলিশ বাহিনী শাদাব খানকে ২০২৩ সালে গুরুত্বপূর্ণ ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) পদ দিয়েছে। আরেক ক্রিকেটার ফখর জামানকে পাকিস্তান নেভি থেকে লেফটেন্যান্ট পদের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। দেশের খেলাধুলায় অবদানের জন্য এবং তরুনদের একইসাথে ক্রিকেট এবং সামরিক বাহিনীর প্রতি আগ্রহী করতে; এবাদতের মতো ক্রিকেটারদের সম্মান জানানো জরুরি।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাংবাদিক সামির এই পোস্ট শেয়ার দিয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবাদত।