দারুণ খেলেও জয় হাতছাড়া বাংলাদেশের
লেবাননকে রুখে দিল বাংলাদেশ, নাকি বাংলাদেশকে রুখে দিল লেবানন, তা নিয়ে একটা জোর আলোচনা হতেই পারে। র্যাঙ্কিংয়ে ৭৮ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটার বিপক্ষে যেভাবে বাংলাদেশ খেলেছে, তাতে ম্যাচ শেষে মনে হতেই পারে, ১-১ গোলে ড্র করে বুঝি জয়টা হাতছাড়াই হয়ে গেল বুঝি জামাল ভূঁইয়াদের!
র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের ব্যবধানটা যেমনই হোক, বাংলাদেশ ম্যাচের বহু আগে থেকেই ছিল আত্মবিশ্বাসী। কোচ হাভিয়ের কাবরেরার কথা শুনে মনে হতেই পারত, এ ম্যাচে বুঝি ফেভারিট জামাল ভূঁইয়ারাই। কোচ বলেছিলেন, ম্যাচটা নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত বেশ, এ ম্যাচ থেকে পুরো তিনটা পয়েন্টই চাই আমাদের।
বাংলাদেশ খেলেছেও ফেভারিটের মতো করে। খেলা গড়ছিল একেবারে গোলরক্ষক থেকে, লেবাননকে ডাকছিল হাইপ্রেসে, তারপর আক্রমণে উঠছিল ধীরে ধীরে, ছোট-বড় পাসে। নড়বড়ে শুরুর পর প্রথমার্ধেই এলো এক, দুই করে তিনটে সুযোগ। প্রতিপক্ষের দারুণ ডিফেন্ডিংয়ে হাতছাড়া হলো প্রথম দুটো, আর শেষটা হাত ফসকে গেল শেখ মোরসালিনের বাজে ফার্স্ট টাচের খেসারত দিয়ে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে পাওয়া চোট দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামতে দিল না গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে। ফলে কোচ কাবরেরাকে তার তৃতীয় পছন্দের গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণের দ্বারস্থ হতে হলো। সেটা প্রভাব রাখল হজম করা গোলটাতে। বক্সে নিজেদের খেলোয়াড়ের জটলায় বলটা হাত ফসকে যায় শ্রাবণের, বল চলে যায় মাজেদ ওসমানের। তার গোলে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা।
সে গোল খেয়ে বাংলাদেশ নুইয়ে পড়েনি। জবাব দিয়েছে পাঁচ মিনিট না যেতেই। বক্সের বাইরে থেকে আগুনে এক শট শেখ মোরসালিনের। একাদশে ফেরার দিনেই স্কোরশিটে তার নাম আবারও। তবে তার নাম উঠতে পারত আরও কবার। প্রথমার্ধের ওই সুযোগ তো আছেই, একই কারণে শেষ বাঁশির কিছু আগে আবারও সুযোগ হাতছাড়া হলো তার, বাংলাদেশেরও। ফলে জয়টা পেতে পেতেও হাত ফসকে বেরিয়ে যায় বাংলাদেশের।