ঘটন-অঘটনের ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ব্রাজিলের ঐতিহাসিক হার

ঘটন-অঘটনের ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ব্রাজিলের ঐতিহাসিক হার

লাতিন আমেরিকানরা বরাবরই মানুষ হিসেবে বেশ আবেগি। ওই অঞ্চলের তো বটেই, তর্কসাপেক্ষে গোটা বিশ্বেরই সেরা দ্বৈরথে যখন মুখোমুখি লাতিন দুই দল আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল, তখন ওই আবেগী মানুষগুলোর আবেগ বাধ ভাঙবে, তা তো অনুমিতই! তবে তার একটা কদর্য রূপের দেখাও মিলল আজ। এস্তাদিও দে মারাকানায় যে দাঙ্গার আগুনটা জ্বললো ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে, তার ফুলকিটা তো বেরিয়েছিল ওই আবেগ থেকেই! পরিস্থিতিটা এতই খারাপ ছিল যে, যা থামানোর চেষ্টায় লিওনেল মেসি-মার্রকিনিয়োসরাও গিয়ে হাজির গ্যালারির সামনে! 

কিন্তু দিনশেষে হিসেব নিকেশ যা, সব তো ওই মাঠের খেলারই। সে খেলায় জিতল আর্জেন্টিনা। নিকলাস অটামেন্ডির একমাত্র গোলে ব্রাজিলকে হারাল ১-০ গোলে। সেই এক গোলেই গড়া হয়ে গেল ইতিহাস। ব্রাজিল করল হারের হ্যাটট্রিক, সঙ্গে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘরের মাটিতে হারের তেঁতো স্বাদ, সব একই দিনে পাওয়া হয়ে গেল পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। 

ম্যাচের আগের ওই ঘটনায় মাঠ ছেড়েই চলে গিয়েছিলেন মেসি। এরপর যখন ফিরলেন, খেলা শুরু হতে হতে লেগে গেল প্রায় ৩০ মিনিটের মতো সময়। নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা পর মাঠে নামে দুই দল। 

তবে ওই ঘটনার রেশ যেন পড়েছিল মাঠের খেলাতেও। শুরুর ২০ মিনিটে তিন চারটে পাসের আগেই খেলা থেমে যাচ্ছিল রেফারির ফাউলের বাঁশিতে। তবে যখনই সুযোগ মিলছিল, ব্রাজিলই খানিকটা এগিয়ে ছিল। হাই প্রেসে আর্জেন্টিনাকে আক্রমণে উঠতেই দিচ্ছিল না। একটা শট তো এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে ফাঁকি দিয়েই দিয়েছিল, কিন্তু গোললাইনের একটু আগে তা ঠেকান ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো।

নড়বড়ে শুরুর পর আর্জেন্টিনা ধীরে ধীরে নিজেদের ছন্দ খুঁজে পেয়েছিল প্রথমার্ধেই। দ্বিতীয়ার্ধে তার ধার আরও একটু বাড়ল। গোলটাও এলো তাতে। ৬৩ মিনিটে কর্নার থেকে ডিফেন্ডার নিকলাস অটামেন্ডির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

এরপর আর কোনো পেছন ফিরে তাকানো নয়। আকাশী সাদারা ম্যাচ শেষ করে জয় নিয়েই। এই জয়ের ফলে মারাকানাতে ব্রাজিলের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল লিওনেল মেসির দল। ২০২১ কোপা আমেরিকা ফাইনালের পর এবারই প্রথম সেখানে খেলতে নেমেছিল ব্রাজিলের বিপক্ষে। সেদিনের মতো এদিনও ম্যাচটা শেষ হলো মেসিদের হাসিমুখ দিয়ে।

সম্পর্কিত খবর