পূর্ণশক্তির বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভয়ঙ্করই হবে, বললেন সাকিব
এশিয়া কাপ শুরুর অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশ একের পর এক দুঃসংবাদই শুনেছে কেবল। সময় যত গড়িয়েছে, বাংলাদেশের শক্তিসামর্থ্য কমেছে ততই। গতকাল ভারতের বিপক্ষে তো একরকম তরুণ এক দল নিয়েই নামতে হয়েছিল দলকে! তবে সেই ম্যাচেই বাংলাদেশ পেয়েছে দারুণ এক জয়। ৬ রানের এই জয় অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দিচ্ছে আরও ভালো কিছুর অনুপ্রেরণা। তার বিশ্বাস, বিশ্বকাপে পুরো শক্তির দল পেলে বাংলাদেশ বেশ ভয়ঙ্করই হয়ে উঠবে।
গতকাল ভারতের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিম ছিলেন না পারিবারিক কারণে। এছাড়া তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম আর হাসান মাহমুদকেও বিশ্রাম দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তাদের ছাড়াই ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে এশিয়া কাপ শুরুর বেশ আগে থেকে বাংলাদেশ একের পর এক খেলোয়াড় হারিয়েই গেছে। ওপেনার তামিম ইকবাল ছিলেন না চোটের কারণে। এরপর এবাদত হোসেনও ছিটকে গিয়েছিলেন হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে। এরপর লিটন দাস জ্বরের কারণে দলের সঙ্গে গ্রুপ পর্বে খেলতে পারেননি, যদিও তিনি খেলেছেন সুপার ফোর থেকে। তিনি ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায়, যাকে ছিটকে দিয়েছে ওই চোটই। এরপর মুশফিক ফিরলেন পারিবারিক কারণে।
সব মিলিয়ে এবারের এশিয়া কাপে নিজেদের সেরা দলটাকে পায়নি দল। এরপরও শেষ ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে দেওয়া গিয়েছে। এরপরই অধিনায়ক সাকিবের মনে হচ্ছে, দলটা বেশ পোক্তই, যদি তা হয় পূর্ণশক্তির। গতকাল ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের খুব ভালো দল আছে। অনেক ইনজুরি ছিল। এশিয়া কাপে খেলোয়াড়দের এমন আসা-যাওয়া আমাদের সাহায্য করেনি। আশা করি আমরা বিশ্বকাপে পুরো ফিট দল পাবো। তাহলে আমরা ভয়ঙ্কর এক দলই হয়ে উঠব।’
শেষ ম্যাচে এসে অভিষেক হয় তানজিম হাসান সাকিবের। সঙ্গে শেখ মেহেদি, নাসুম আহমেদরাও ফিরেছিলেন দলে। বাংলাদেশের জয়ের নেপথ্য নায়কও তারাই। সাকিব এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেসব ছেলেরা সুযোগ পায়নি, আমরা তাদের সুযোগ দিয়েছি। আমরা দেখতে চেয়েছিলাম কোন কম্বিনেশনটা ঠিক হয়, শেষ কয়েকটা ম্যাচ দেখে ভেবেছি স্পিনাররা বড় অংশ হবে। এজন্য বাড়তি স্পিনার নিয়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত আজ কাজ এসেছে।’