ধানমন্ডির প্রথম হার, লিটনের রানে ফেরার দিনেও জয় পেলো না গুলশান
অবশেষে হারের মুখ দেখলো ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম দুই রাউন্ডের দুই ম্যাচেই জেতা দলটি পথ হারালো তৃতীয় রাউন্ডে এসে। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ১৭৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। দিনের অপর ম্যাচে গুলশাল ক্রিকেট ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ( ডিপিএল) তৃতীয় রাউন্ডে আজ সোমবার বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান করে গাজী গ্রুপ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৪.২ ওভারে ১২৩ রানেই অলআউট হয় ধানমন্ডি। আসরের প্রথম হার দেখলো সোহানের দল।
২৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ধানমন্ডি। প্রথম ওভারেই কোনো রান না করে ফিরে যান আশিকুর রহমান শিবলি। আরেক ওপেনার হাবিবুর রহমানও ফিরে যান ৯ রানের মাথায়। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আর ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ধানমন্ডি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা তারা। সোহানের ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইয়াসির আলি রাব্বিও ফিরেছেন ১৮ রান করে। আর তাতেই ১২৩ রানেই গুটিয়ে যায় ধানমন্ডি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দাপুটে শুরু পায় গাজী গ্রুপ। দুই ওপেনার সাদিকুর রহমান ও এনামুল হক বিজয় মিলে গড়েন ৮৩ রানের জুটি। সাদিকুর ৩০ করে ফিরে যান। তবে তাতেও থামেনি গাজী গ্রুপের রানের চাকা। বিজয় করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৬৯ রান। শামসুর রহমান শুভ করেন ৬০ রান। শেষে আব্দুল গাফফার সাকলাইনের ঝড়ো ৩৩ ও তোফায়েল আহমেদের অপরাজিত ২০ বলে ৩৩ রানে ২৯৮ রান করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। এ ম্যাচে ৩৩ রান ও ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকলাইন।
দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসটির তিন নম্বর মাঠে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভারে ২২২ রানেই অলআউট হয় গুলশান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অগ্রণী ব্যাংক।
২২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ফিরে যান ওপেনার শাদমান ইসলাম। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও ব্যর্থ ব্যাট হাতে। ফিরে যান মাত্র ৩ রান করেই। তবে এরপর দলের হাল ধরেন ইমরানুজ্জামান ও অমিত হাসান। দুজনে মিলে গড়েন ১৩৪ রানের জুটি। ইমরান ৭৫ ও অমিতের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান। শেষে মার্সাল আইয়ুরের ৪০ রানে ভর করে জয় তুলে নেয় অগ্রণী ব্যাংক।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে গুলশানও শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। দুই ওপেনার ফিরে যান ২২ রানের মাথায়। তবে এদিন রান পেয়েছেন লিটন কুমার দাস। ৬২ বলে লিটন খেলেছেন ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এরপর অনেকেই শুরুটা ভালো পেলেও বড় রানের দেখা পাননি। তাতেই ২২২ রানে থামে গুলশানের ইনিংস।