৬ বছর নিষিদ্ধ স্যামুয়েলস
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড় মারলন স্যামুয়েলস, ক্যারিবিয়ানদের বড় দুটি শিরোপা অর্জনে তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ২০১২ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে তার অবদান আজও ভুলেনি তার দল। দুই ফাইনালে তিনি উপহার দিয়েছিলেন ৭৮ ও অপরাজিত ৮৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। এই তারকা ক্রিকেটারকে ৬ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি।
২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছিলেন স্যামুয়েলস। তবে এবার থেকে সেটিও আর হচ্ছে না। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সিদ্ধান্তে তাকে বড় সময়ের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে চারটি দুর্নীতিবিরোধী অভিযোগ আনে আইসিসি। অভিযোগগুলো ছিল ২০১৯ সালে আবুধাবি টি-১০ লিগ সম্পর্কিত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ৪২ বছর বয়সী এই ক্যারিবিয় তারকা ক্রিকেটারকে শাস্তি দিল আইসিসি। এই শাস্তি কার্যক্রম হয়েছে ১১ নভেম্বর ২০২৩ থেকে।
স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হলোঃ
অনুচ্ছেদ ২.৪.২ -অংশগ্রহণকারী বা ক্রিকেট খেলাকে অসম্মান করতে পারে এমন কোনো উপহার, অর্থপ্রদান, আতিথেয়তা বা অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তি।
অনুচ্ছেদ ২.৪.৩ - ৭৫০ মার্কিন ডলার বা তার বেশি মূল্যের উপহারের রশিদ মনোনীত দুর্নীতিবিরোধী অফিসিয়ালদের প্রকাশ করতে ব্যর্থ হওয়া।
অনুচ্ছেদ ২.৪.৬ - মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়া।
অনুচ্ছেদ ২.৪.৭ - তদন্তের সাথে প্রাসঙ্গিক হতে পারে এমন তথ্য গোপন করার মাধ্যমে মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে বাধা বা বিলম্ব করা।
আইসিসির এইচআর অ্যান্ড ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে শাস্তি নিয়ে বলেন, ‘স্যামুয়েলস প্রায় দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন, সেই সময় তিনি অসংখ্য দুর্নীতিবিরোধী সেশনে অংশ নিয়েছিলেন। দুর্নীতিবিরোধী কোডের অধীনে তার দায়িত্ব ঠিক কেমন ছিল তা সে জানত। আমার মনে হয়, ছয় বছরের এই নিষেধাজ্ঞা যেকোনো অংশগ্রহণকারীর জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করবে যারা নিয়ম ভঙ্গ করতে চায়।’