দলের ব্যর্থতায় ৯০০ কোটি ক্ষতি পাকিস্তানের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে ঘিরে পাকিস্তানের মানুষদের মাঝে উন্মাদনার শেষ ছিল না। ক্রিকেটবোর্ড ও দেশটির ভক্ত-সমর্থকদের মাঝেও প্রত্যাশার শেষ ছিল না। প্রত্যাশার পারদ বেশি হওয়ার কারণও আছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে প্রায় তিন দশক পর পাকিস্তানের মাটিতে ফিরেছিল কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বা আইসিসির অন্য বড় কোনো টুর্নামেন্টে আয়োজক দেশের অন্যতম লক্ষ্য থাকে অর্থ উপার্জন করা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেরও (পিসিবি) এমন কিছু চিন্তাভাবনা অবশ্যই ছিল। তবে তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। উল্টো বিরাট অঙ্কের লোকসানের মুখ দেখেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। যার প্রভাব ইতোমধ্যেই পড়েছে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলা ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি কমানো হয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়াম সংস্কার করেছিল পিসিবি। প্রথমে যা বাজেট ছিল তার দ্বিগুণ খরচ হয়েছে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের মাটিতে দু’টি ম্যাচ ছিল পাকিস্তানের। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে করাচি ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রাওয়ালপিন্ডিতে। ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে দুবাই যেতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। দেশের মাটিতে দু’টি ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ ম্যাচটি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। ফলে আয়োজক দেশ নিজেদের ঘরে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছে।
তাছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে সকলের আগে বিদায় নিয়েছে তারা। মাত্র চার দিনেই তাদের প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে পাকিস্তানের দর্শক এই প্রতিযোগিতা থেকে আগ্রহ হারিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই টিকিটের চাহিদা কমেছে। তার ফলে মুখ ফিরিয়েছে স্পনসরেরা। জানা গিয়েছে, ৮৬৯ কোটি রূপি লোকসান হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের।
আর এমন লোকসানের পর আসন্ন জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় ক্রিকেটারদের বেতন ৯০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিলাসবহুল হোটেলের পরিবর্তে ভাড়া করা হয়েছে সাধারণ মানের হোটেল। জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় আগে প্রতিটি ম্যাচের জন্য ক্রিকেটারেরা ৪০ হাজার রূপি করে পেতেন। সেটা কমে ১০ হাজারে নেমে এসেছে। যদিও এই বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।