নতুন ভূমিকা নিয়ে চেনা আঙিনায় ফেরা তাইজুলের
টেস্ট স্পেশালিষ্ট, এই তকমাটা নামের পাশে একেবারেই লেগে গিয়েছিলো। পরে অবশ্য সেটা পরিবর্তন হয়েছে। মাস ছয়েক আগে ছিলেন ওয়ানডে দলের নিয়মিত সদস্য। তবে অধিনায়ক পরিবর্তন হওয়ার সাথে তাইজুলের ভাগ্যেও আসে পরিবর্তন। আবার টেস্ট স্পেশালিষ্ট হিসেবেই স্কোয়াডে তাইজুল ইসলাম৷
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাকিব আল হাসান নেই৷ দলের সবচাইতে অভিজ্ঞ বোলার তো বটেই সেই সাথে স্পিন আক্রমণের নেতার ভূমিকাতেও তাইজুল ইসলাম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য তাইজুলের অতীত রেকর্ড খুব একটা সুখকর নয়।
অবশ্য কিউইদের বিপক্ষে তাইজুল ম্যাচই খেলেছেন একটা। সেটাও তাদের মাটিতেই। তাও আবার চার বছর আগে। সেটাতেও বল করার সুযোগ পেয়েছেন এক ইনিংস৷ তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি৷
বাংলাদেশের মাটিতে কখনোই কিউইদের মোকাবেলা করেননি তাইজুল। শেষবার কিউইরা যখন বাংলাদেশে টেস্ট খেলেছিলো সেটা ছিলো ২০১৩ তে। আর তাইজুলের টেস্ট অভিষেকই হয় ২০১৪ তে। তবে তাইজুলের বিপক্ষে কিউইদের লড়াই যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা দেশের মাটিতে এই বাঁহাতির পরিসংখ্যান দেখলেই আঁচ পাওয়া যায়।
দেশের মাটিতে নাটোরের এই বোলারের উইকেট আছে ১৩৯ টা৷ তাও আবার ৫৪ ইনিংস বল করেই। পাঁচ উইকেট আটবার। চার উইকেট ১১ বার৷ ম্যাচে দশ উইকেটও পেয়েছেন একবার৷
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মতো টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। বোলিং অ্যাটাকের শুধু সাকিবই নন, দুই পেসার এবাদত আর তাসকিনও নেই দলে। সবমিলিয়ে বোলিং আক্রমণে নেতাও এখন তাইজুল। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হলে অবশ্যই নিজের সেরাটা তো দিতে হবেই সেই সাথে জেতাতে হলেও লাগবে তাইজুলের ম্যাজিক্যাল স্পেল।
টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাইজুল ইসলাম
ইনিংস: ১
উইকেট: ২
গড়: ৪৯.৫০
ইকোনমি: ৪.৭১
স্ট্রাইক রেট: ৬৩.০০
সেরা: ২/৯৯
টেস্টে দেশের মাটিতে তাইজুল ইসলাম
ইনিংস: ৫৪
উইকেট: ১৩৯
ইকোনমি: ২.৮৩
গড়: ২৮.২৫
স্ট্রাইক রেট: ৫৯.৬
সেরা: ৮/৩৯