তামিমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানালেন ডাক্তার
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ( ডিপিএলে) খেলতে নেমে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও এনজিওগ্রামের পর ব্লক ধরা পড়ায় তামিমের হার্টে রিং পরানো হয়েছে। তামিমের অসুস্থতার খবরে স্তব্ধ হয়ে গেছে গোটা দেশ।
তামিমের অসুস্থতা নিয়ে সাভারের কেপিজি বিশেষায়িত হাসপাতালের ডিরেক্টর ড. রাজিব গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এটার জন্য একটা এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং স্টেন্ট করা হয়। এটা খুবই স্মুথলি এবং এফিসিয়েন্ট হয়েছে। আমাদের যে কার্ডিওলজিস্ট ডক্টর মারুফ আছেন ওনি করেছেন। খুব ভালো হয়েছে ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন। আমরা যেমনটি বলছিলাম একটু ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিল, এখন উনি অবজারভেশনে আছেন। একটু সময় লাগবে। আমরা সবাই উনার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করছি।'
তামিমের এমন অসুস্থতার খবরে বোর্ড সভা স্থগিত করে হাসপাতালে গিয়েছেন বিসিবি কর্মকর্তারা। এসময় বিসিবি পরিচালক মাহবুবুল আনাম বলেন, 'প্রত্যেকটা স্টেপে আমার কাছে মনে হয়েছে যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। এই জিনিসটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে প্রতিটা স্টেপে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।'
এছাড়া তামিমের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকেও তামিমের অসুস্থতা নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, টসের পর হালকা বুকে ব্যথা অনুভব করলে তামিম বিষয়টি দ্রুত দলের ফিজিও ও ট্রেইনারকে জানান। প্রাথমিকভাবে গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা মনে হওয়ায় তিনি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ গ্রহণ করেন। তবে কিছুক্ষণ পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সতর্কতার অংশ হিসেবে নিকটতম হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা শেষে তিনি বিকেএসপিতে ফিরে আসেন।
এরপর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়। হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়লে তাকে আবারো নিকটতম কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হয় এবং রিং পরানো হয়। বর্তমানে তিনি কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
