২০২৮ অলিম্পিকে পদকের স্বপ্ন 

২০২৮ অলিম্পিকে পদকের স্বপ্ন 

১৯৮৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত এখন পর্যন্ত ১০টি অলিম্পিকে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে তার একটিতেও পদক জিততে পারেনি। ২০২৮ অলিম্পিকে সে খরাটা কাটাতে চায় জিমন্যাস্টিকস। সে লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপও তৈরি করে ফেলেছে বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন।

এ পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের (এফআইজি) প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে তাদের কার্যনির্বাহী সভায়ও নিয়ে এসেছে বিজিএফ। এফআইজি সাধারণত তাদের সদস্য রাস্ট্রে কার্যনির্বাহী সভা করে থাকে। তবে ফেডারেশনের ইতিহাসে প্রথম তারা সদস্য নয় এমন দেশে তাদের সভা করেছে। 

রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দু’দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন এফআইজি সভাপতি মরিনারি ওয়াতানাবে। কার্য নির্বাহী কমিটির সভা শেষে বিজিএফের এক উন্নয়ন সভায়ও ছিলেন তিনি।

ওয়াতানাবে বলেন, ‘বাংলাদেশ যে প্রতিভাবান জিমন্যাস্ট তৈরি করেছে, তাতে আমি বিস্মিত। বৃহত্তর সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে তাদের অগ্রযাত্রা আমাকে খুশি করেছে। লক্ষ্য অর্জনে অবশ্যই আমরা তাদের প্রতি সমর্থনের হাত প্রসারিত করব। আমি বিশ্বাস করি তারা ২০২৮ সালের অলিম্পিক গেমসে অন্তত একটি পদক অর্জন করতে পারবে।’

এফআইজি সভাপতি বাংলাদেশকে প্রশিক্ষণের সুবিধা ও প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়েও সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। বলেন, ‘আমরা আপনাকে অবকাঠামোগত সুবিধা দিতে পারবনা। কারণ এটি সরকার এবং ফেডারেশনের দায়িত্ব। তবে আমরা আপনাদের প্রশিক্ষণের সুবিধা এবং এই সেক্টরে উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দিতে পারি।’

যে কোনো খেলায় বড় ভিতটা তৈরি হয় তৃণমূল থেকে। বিজিএফ সভাপতি বশির আহমেদ মামুন তাই জোর দিচ্ছেন স্কুল পর্যায় থেকে জিমন্যাস্ট তৈরিতে। তিনি বলেন, ‘স্কুল পর্যায়ে (জিমন্যাস্টিকস) চালু করার জন্য ইতিমধ্যে আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমি চাই খেলোয়াড়রা তৃণমুল পর্যায় থেকে প্রস্তুত হোক, যাতে আমরা আমাদের পাইপলাইনকে শক্তিশালী করতে পারি।’

জিমন্যাস্টিকস প্রশিক্ষণের জন্য জিমন্যাস্ট, কোচ এবং বিচারকসহ ১৫ সদস্যের একটি দলকে আগামী ৫ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠাচ্ছে বিজিএফ। এরপর সামনে আছে মিশর ও আজারবাইজান সফরও।

সম্পর্কিত খবর