জ্যোতিদের বিশ্বকাপে খেলার সমীকরণ
এবছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে আয়োজিত হবে নারী বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। যেখানে খেলবে আট দল। তবে এরই মধ্যে স্বাগতিক ভারত সহ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড। বাকি দুই দল আসবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এবারের আসর হবে পাকিস্তানে। ৯ থেকে ১৫ এপ্রিল লাহোরের দুই ভেন্যুতে হবে বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাছাইপর্ব খেলতে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ড এই ছয় দলের মধ্যে থেকে শীর্ষ দুই দল জায়গা করে নেবে বিশ্বকাপে।
১৯৭৩ সালে সর্বপ্রথম আয়োজিত হয়েছিল বিশ্বকাপ। এরপর থেকে মাত্র একবার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০২২ সালের সর্বশেষ বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব থেকে বিশ্বকাপে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
তবে এবারের সমীকরণ অনেকটাই কঠিন জ্যোতিদের সামনে। বাছাইয়ে শীর্ষ দুইয়ে থেকেই ভারতের টিকিট কাটতে হবে। যেখানে আছে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। যদিও র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ৭ আর পাকিস্তানের ১০। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে র্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে। বাছাইপর্বে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে একেকটি দল খেলবে পাঁচটি করে ম্যাচ।
যদিও গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেই সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে পারতো জ্যোতির দল। তবে সে সিরিজে ২-১ এ হেরেছে বাংলাদেশ। এখন বিশ্বকাপে খেলতে হলে বাংলাদেশকে কমপক্ষে চারটি ম্যাচ জিততে হবে। তিনটি ম্যাচ জিতলেও সম্ভব তবে তাতে পরতে হবে রানরেটের মারপ্যাচে।
১০ এপ্রিল বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে নামবে জ্যোতির দল। বাংলাদেশের বাকি ম্যাচগুলো যথাক্রমে ১৩ এপ্রিল আয়াল্যান্ড, ১৫ এপ্রিল স্কটল্যান্ড, ১৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১৯ এপ্রিল স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে।