কিংসকে উড়িয়ে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনী
মাঠে দশজন নিয়ে খেলেছে আবাহনী! তারপরও তাদের সঙ্গে ফেরে উঠেনি বসুন্ধরা কিংস। নির্ধারিত সময়ে সমতা দিয়ে শেষ হওয়ার পরে ট্রাইবেকারে ৪-২ গোলের ব্যবধানে কিংসকে হারিয়েছে আবাহনী। গোলরক্ষক মিতুল মারমার দক্ষতায় ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পা রাখল দলটি।
কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার প্রথমার্ধে একজনকে হারিয়ে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আবাহনী। ম্যাচের ৪২ মিনিটে ডিফেন্ডার আসাদুজ্জামান বাবলু দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ফলে ম্যাচের বাকি সময় আবাহনী ১০ জন নিয়েই লড়েছে কিংসের বিপক্ষে। দ্বিতীয়ার্ধে পিছিয়ে পড়ে আবার ম্যাচের শেষ মুহূর্তে সমতা এনেছে মারুফুল হকের শিষ্যরা। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।
তবে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও দুই দলকে আলাদা করা যায়নি। টাইব্রেকারে প্রথম শটে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত গোলকিপার মিতুল মারমার নেপুণ্যে ৪-২ গোলে কিংসকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে আবাহনী। যদিও শেষ সময়ের আগে ঠিক আগে গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকোকে মাঠে নামান কিংস কোচ ভ্যালেরিউ তিতা। প্রথম শটেই আনিসুর আটকে দেন আবাহনীর জাফর ইকবালের দুর্বল শট। আবাহনীর হয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শটে লক্ষ্য ভেদ করেন দুই বিদেশি রাফায়েল ও এমেকা। কিংসের হয়ে জোনাথন আর মোরছালিন গোল করেন।
কিংসের তৃতীয় শট আটকে দিয়ে তাদেরকে কিছুটা চাপে ফেলেন মিতুল। আর নিজেদের চতুর্থ শট বারের ওপর দিয়ে মারেন নবাগত ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ডেসিয়েল এলিস ডস সান্তোস। পঞ্চম শটে ইব্রাহিম গোল করে আবাহনীকে নিয়ে যান ফাইনালে। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে মিতুল মারমার হাতে।