ফিক্সিংয়ে জড়িতদের শাস্তি চাইলেন ইমরুল কায়েস
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) গতকালকের ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ পেয়েছে বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফিক্সিংয়ের বিষয়টি তদন্তে বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী কমিটিও কাজ করছে বলে জানিয়েছে ডিপিএল আয়োজক কর্তৃপক্ষ ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। সেখানে এবার ফিক্সিং বিতর্ক নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস।
ডিপিএলে গতকাল বেশ এগিয়ে চিল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রতিপক্ষ গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে হারাতে তাদের দরকার ছিল ৭ ওভারে ৬ রান। তবে শেষমুহূর্তে এসে অদ্ভুতভাবে আউট হন শাইনপুকুর ব্যাটার মিনহাজ আবেদীন। সময় থাকার পরেও রান নিতে গিয়ে ক্রিজে ফিরে যান নি তিনি। আর বিতর্ক শুরু হয় সেখান থেকে।
এ বিষয়ে গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেন ইমরুল কায়েস। জাতীয় দল থেকে সদ্য অবসমর নেওয়া এই তারকা লিখেন, মিডিয়া, ক্রিকেটার, সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকার—সবাই আজ একটা ঘটনায় স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ। কারণটা খুব পরিষ্কার—ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজ যে কাজটা হয়েছে, সেটা শুধু লজ্জাজনক না, এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছে। একটা দলকে সুপার লিগে উঠতে না দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে আরেক মাঠে দুই দল নিজেদের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে! এটা কী ধরনের নাটক? আজকের সেই ম্যাচের ভিডিও প্রমাণসহ নিচে রয়েছে—আপনারা নিজেরাই দেখুন, বিচার করুন।
তিনি আরো জানান,‘ এই যদি হয় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অবস্থা, তাহলে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে কারা খেলবে? কাদের হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি দেশের পতাকা? যারা মাঠে নামার আগেই ম্যাচের ফয়সালা করে নেয়, তাদের দিয়ে কী দেশের প্রতিনিধিত্ব হয়? লজ্জা! যাদের ব্যবহার করে এসব নোংরা খেলা খেলানো হচ্ছে, তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, কারণ ওরা আজ নিজেরাই নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে।
ফিক্সিংয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি করে তিনি লিখেন,‘আমি জোরালোভাবে দাবি জানাই—এদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা এই কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত আজকের ম্যাচ বাতিল করে পুনরায় রি-শিডিউল করা উচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এভাবে শেষ হতে দেওয়া যায় না। আজকে চুপ থাকলে, কাল হয়ত আর কিছু বলার সুযোগ থাকবে না।'
তার মতে 'আমরা যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখি, সেই স্বপ্নকে বাস্তব করতে দিনরাত খেটে যাচ্ছি—আর কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষ নিজেদের স্বার্থে গোটা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করছে উন্নতির, কিন্তু এইসব ঘটনাগুলো সেই চেষ্টাকেও মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছে।'