পিএসএল ড্রাফটের সর্বোচ্চ দামের ক্যাটাগরিতে সাকিব
মাঠের আলোচনায় সাকিব, মাঠের বাইরেও আলোচনায় সাকিব। বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় চোট পেয়ে শেষ ম্যাচ না খেলেই দেশে ফেরেন। আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরেও থাকছেন বিশ্রামে। মাঠের আলোচনাতেও যেন কিছুটা বিশ্রামেই ছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। কেননা তাকে নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু রাজনীতিকে ঘিরে। সেখান থেকে আবারও কিছুটা মাঠের আলোচনায় ফিরলেন সাকিব।
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ড্রাফটে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গতকাল (শনিবার) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক ভিডিও পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছে পিএসএল।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের সূত্রমতে, আগামী বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ মাঠে গড়াবে পিএসএলের নবম আসর। সেটিকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের নিলামের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১৪ ডিসেম্বর।
ড্রাফট ভাগ করা হয়েছে মোট ছয় ক্যাটাগরিতে। সেখানে আছেন মোট ৪৯৩ জন বিদেশি ক্রিকেটার। সেই তালিকায় বাংলাদেশি ক্রিকেটার আছেন ২৮ জন। সবচেয়ে দামি প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ হয়ে আছেন কেবল সাকিবই। এতে, কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি তাকে কিনতে চায় তবে অন্তত ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় দেড় কোটি টাকা) খরচ করতে হবে।
ডায়মন্ড ক্যাটাগরিতে আছেন পাঁচজন। তারা হলেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। তাদের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ হাজার ডলার (প্রায় ৬৬ লাখ টাকা)। বাকি চার ক্যাটাগরি গোল্ড, সিলভার, ইমার্জিং ও সাপ্লিমেন্টারিতে থাকা ক্রিকেটারদের তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এজন্য বাকি বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের নাম জানা যায়নি।
এর আগে পিএসএলের তিন মৌসুমে খেলেছেন সাকিব। ২০১৬ সালে টুর্নামেন্টের প্রথম মৌসুমে খেলেন করাচি কিংসের হয়ে। ২০১৭ এবং চলতি বছর ছিলেন পেশোয়ার জালমিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে 'রিজার্ভ সাপ্লিমেন্টারি পিক’ হিসেবে পেশোয়ারে নাম লেখান তিনি। তবে পারিবারিক কারণে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর কারণে খেলেছিলেন কেবল এক ম্যাচ।