রাজনীতি নয়, ক্রিকেটেই মনোযোগ ছিল সবসময়: সাকিব

  • স্পোর্টস বাংলা রিপোর্ট
  • ১২:০৫ পিএম | ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত ও সফল অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব আল হাসান। তবে মাঠের বাইরের ঘটনা প্রায়ই তাকে এনে দেয় বিতর্কের মুখে। গত বছর জুলাই-আগস্টে যখন বাংলাদেশ উত্তাল ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে, ঠিক সেই সময় সাকিব ছিলেন বিদেশে-তাও ঘুরছিলেন কানাডার একটি সাফারি পার্কে। ছবি দিয়েছিলেন স্ত্রী শিশির। এরপর থেকেই দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে তার ভূমিকা নিয়ে।

একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব সেই সময়কার পরিস্থিতি এবং নিজের আচরণ নিয়ে কথা বলেছেন খোলামেলা ভাবে। ছবিটি তিনি নিজে পোস্ট না করলেও দায় নিচ্ছেন পুরোপুরি। বলছেন, 'এটা একটা পূর্বপরিকল্পিত পারিবারিক ভ্রমণ ছিল। এখন বুঝতে পারছি, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে আমার আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।'

তিনি আরও বলেন, তখন তার মনোযোগ ছিল শুধুই ক্রিকেটে, আমাকে কখনো রাজনীতিতে জড়াতে বলা হয়নি, বরং সব সময় বলা হয়েছে, 'শুধু ক্রিকেট খেলো।' আমি সেটাই করেছি।'

সেই ছবিটি যে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে, তা বুঝে উঠতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সাকিব। অনেকে কষ্ট পেয়েছেন, সেটিও স্বীকার করেছেন, 'এখন বুঝতে পারছি, ওটা একটা ভুল ছিল। এমনকি অন্যরাও একই রকম জিনিস পোস্ট করলেও, আমারটা বেশি মনোযোগ পেয়েছে।'

কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ চলাকালে এক দর্শকের সঙ্গে সাকিবের বাগ্‌বিতণ্ডা নিয়েও দিয়েছেন ব্যাখ্যা। ওই দর্শক কেন তিনি কিছু করছেন না, সে নিয়ে বারবার প্রশ্ন করলে সাকিবও পাল্টা প্রশ্ন করেন, 'ভাই, আপনি কী করেছেন?” এখান থেকেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। সাকিবের ভাষায়, “আমি তো ওই সময়ের ঘটনাগুলো উপেক্ষা করছিলাম না। আমি শুধু জানতাম না কী করতে হবে, কোনটা কার্যকর হবে।'

তিনি মনে করেন, ফাঁকা বুলি নয়, বরং দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি,'আমি যদি সরাসরি পরিবর্তন আনতে না পারি, তাহলে ফাঁকা বুলি আওড়ে কী লাভ!'-এই ছিল সাকিবের বক্তব্য।

রাজনীতিতে জড়িয়ে এখন সাকিব ক্রিকেট থেকে অনেকটা দূরে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এই অলরাউন্ডার শেষ টেস্ট খেলতে পারেননি ঘরের মাঠে, খেলেননি পাকিস্তান ও দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও। কবে ফিরবেন মাঠে, সেই প্রশ্ন এখনো রয়ে গেছে অনিশ্চয়তায়।

খেলার দুনিয়া | ফলো করুন :