বিশ্বকাপে খেলতে যে সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে জ্যোতিরা
এ বছরই মাঠে গড়াবে আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। যেখানে অংশ নেবে মোট আট দল। ছয় দল ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপে খেলার টিকিট হাতে পেয়েছে। বাকি দুই টিকিটের জন্য বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লড়াই করছে ছয় দল। ছয় দলের থেকে শীর্ষ দুই দল জায়গা করে নেবে বিশ্বকাপে। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের মত শক্তিশালী দলের সঙ্গে লড়াই করতে হবে বাংলাদেশ নারী দলকেও।
বাংলাদেশ অবশ্য সুযোগ পেয়েছিল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতলেই বাছাই পর্ব ছাড়াই সরাসরি দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পেত বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। শেষে ম্যাচে হেরে নামতে হয়েছে বাছাইপর্বের পরীক্ষায়।
তবে এ পরীক্ষার শুরুটা বেশ ভালোই করেছে জ্যোতির দল। প্রথম তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে টেবিলে সবার উপরে আছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে পাকিস্তান ও জিতেছে তিন ম্যাচই। তবে নেট রান রেটে পিছিয়ে দুইয়ে স্বাগতিক পাকিস্তান। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুবিধা হয়েছে স্কটল্যান্ডের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারে। যে কারণে পরের দুই ম্যাচের একটি জিতলেই কোনো হিসাব ছাড়াই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করবে জ্যোতির দল। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাছাইয়ে টানা তিন ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপে খেলার পথ বেশ মসৃণ করে রেখেছে বাংলাদেশ। আজ উইন্ডিজকে হারাতে পারলে ‘যদি-কিন্তু’ ছাড়াই বিশ্বকাপের মঞ্চে পৌঁছে যাবে তারা। জ্যোতির দলের সমীকরণও অনেকটা সহজ। থাইল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট ও ১.৪৯৪ রেটিং নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের টেবিলের শীর্ষে।
বাছাইপর্বে প্রতি দল খেলবে পাঁচটি করে ম্যাচ। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান তিনটি করে ম্যাচ খেলে এখনো অপরাজিত। দুই দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট। স্কটল্যান্ডের ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট, সমান ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের ২ পয়েন্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট, থাইল্যান্ড ৩ ম্যাচ খেলে এখনও জয়ের দেখা পায়নি। পাকিস্তান ছাড়া বাকি চারটি দল নিজেদের সব ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে আসবে রান রেটের হিসাব।
বাংলাদেশ যদি বাকি থাকা দুটো ম্যাচ হেরেও যায়, বিশ্বকাপে খেলার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকবে তাদের। তবে এসব হিসেব-নিকেশে একদমই যেতে নারাজ জ্যোতিরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সব মিলিয়ে ৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচে হার ও একটি ম্যাচে জিতেছে জ্যোতির দল।
বাছাইপর্বে যাওয়ার আগে অধিনায়ক জ্যোতি জানিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে ভালো করতে চান। সেটাই হয়েছে। ব্যাটিংয়ে তিন ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ খেলে ২৩৫ রান নিয়ে টুর্নামেন্টের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক জ্যোতি। তালিকায় তিন নম্বরে আছেন দুই ফিফটি করা বাংলাদেশি ব্যাটার শারমিন আক্তার (১৭৫)। দুটি ফিফটি করেছেন ওপেনার ফারজানা হক (১১০)। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ।