চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিতে কে কার মুখোমুখি
প্রাণপণ লড়েও হলো না। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও অ্যাস্টন ভিলা নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে লড়েছিল ঘরের মাঠে। কিন্তু ইউরোপ সেরার মঞ্চে লড়াইটা আর একটু বেশি চায়। তাই কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পেরুতে পারল না তারা। বরং আগে থেকেই টিকিট কাটা বার্সেলোনা ও পিএসজির পাশাপাশি এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের অন্য দুই মুখ হলো আর্সেনাল ও ইন্টার মিলান।
১৬ বছর পর সেমিফাইনালে ফিরেছে আর্সেনাল, আর তারা ফিরেছে রাজকীয় কামব্যাক ঘটিয়ে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়ে ৫-১ অ্যাগ্রিগেট স্কোরে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে মিকেল আর্তেতার দল। অন্যদিকে, সান সিরোতে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে অ্যাওয়ে লেগে পাওয়া ২-১ জয়ের সুবাদে শেষ চারে পৌঁছেছে ইন্টার মিলান।
এবারের সেমিফাইনালে অংশ নিচ্ছে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের চারটি-লা লিগা, সিরি আ, লিগ ওয়ান এবং প্রিমিয়ার লিগ। এমন একটি প্রতিযোগিতামূলক লাইনআপে যে উত্তেজনা উপচে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
এই দুই দলের দ্বৈরথ মানেই ইতিহাসের গন্ধ। ২০১০ সালের সেমিফাইনাল এখনো ফুটবল ভক্তদের মনে গেঁথে আছে। সেবার হোসে মরিনিওর ইন্টার মিলান থামিয়েছিল পেপ গার্দিওলার দাপুটে বার্সাকে। সেই ইন্টার-যাত্রাই মরিনিয়োকে পৌঁছে দিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে, যার পরিণতি ছিল এক যুগব্যাপী গার্দিওলা-মরিনিও দ্বৈরথে আধুনিক ফুটবলের দিক পরিবর্তন।
যদিও সেই স্কোয়াডের কেউই এখন আর নেই, তবু স্মৃতির উত্তাপ নতুন করে প্রাণ পাবে এই লড়াইয়ে। আর বার্সেলোনা ২০১৫ সালের পর থেকে ফাইনালের মুখ দেখেনি। এবার তাই তাদের সামনে ইতিহাস বদলানোর সুযোগ।
রিয়াল মাদ্রিদের মতো দৈত্যকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে গানার্সরা। ঘরোয়া লিগে যতই হোঁচট খাক না কেন, ইউরোপের মঞ্চে আর্সেনাল এখন এক ভয়ঙ্কর দল। আর তাদের প্রতিপক্ষ পিএসজি এবার টানা তৃতীয় ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের ক্লাবের বিপক্ষে। রাউন্ড অব ১৬-তে লিভারপুল, কোয়ার্টারে অ্যাস্টন ভিলা, এবার আর্সেনাল।
সেমিফাইনাল মহাযুদ্ধ
বার্সেলোনা বনাম ইন্টার মিলান
প্রথম লেগ: ২৯ এপ্রিল, রাত ১:০০ (ইন্টার মিলানের মাঠে)
দ্বিতীয় লেগ: ৬ মে, রাত ১:০০ (বার্সেলোনার মাঠে)
আর্সেনাল বনাম পিএসজি
প্রথম লেগ: ৩০ এপ্রিল, রাত ১:০০ (আর্সেনালের মাঠে)
দ্বিতীয় লেগ: ৭ মে, রাত ১:০০ (পিএসজির মাঠে)