ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন
ফুটবল যেন এক মহাকাব্য। যে মহাকাব্য দেখার অপেক্ষায় থাকে গোটা ফুটবল বিশ্ব। গতকাল এমনই এক মহাকাব্যিক ম্যাচের সাক্ষী হলো ওল্ড ট্রাফোর্ড। কল্পনাকে হার মানানো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ফুটবল ভক্তদের উপহার দিলো এই শতাব্দীর অন্যতম সেরা এক ফুটবল রোমাঞ্চ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে লিঁওকে হারিয়ে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠলো ম্যানইউ।
ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ প্রতিপক্ষের মাঠে ২-২ তে ড্র করেছিল ম্যানইউ। তাই ঘরের মাঠে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল তারা। প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এমন অবস্থায় হয়তো জয়ের স্বপ্ন দেখছিল রেড ডেভিলরা। তবে নাটকীয়তার জল যে এতদূর গড়াবে তা হয়তো কল্পনা করতে পারেননি কেউই। ৯ গোলের ম্যাচে রুবেন আমুরির ম্যানইউ জয় পেয়েছে ৫-৪ গোলে। দুই লেগ মিলে ৭-৬ গোলে জিতে সেমিতে উঠলো তারা।
ম্যাচটা কতটা রোমাঞ্চে ভরা ছিল তা পরিসংখ্যানই বলে দেয়। প্রতিপক্ষের মাঠে বল দখলে লিঁও এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে দুই দলই ছিল সমানে সমান। গোলের লক্ষ্যে দুই দলই সমান ২১ টি করে শট নিয়েছে। যেখানে লিঁওর ৯ টি শটই ছিল গোলবার অভিমুখে। আর ম্যানইউ নিতে পেরেছিল ৮ টি।
ম্যাচের দশম মিনিটে মানুয়েল উগার্তের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়াগো দালোত। তবে ম্যাচের আসল নাটকীয়তা শুরু হয় ৭১ মিনিটে। ৭১ মিনিটে তোলিসোর গোলে ব্যবধান কমানোর পর ৬ মিনিট পরেই তাগলিয়াফিকোর গোলে সমতায় ফেরে লিঁও। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ঠিক আগেই ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন তোলিসো। তাতেই অতিরিক্ত সময়ে ১ জন কম নিয়ে মাঠে নামতে হয় সফরকারীদের।
তবে অতিরিক্ত সময়ের ১০৪ মিনিটে লিঁওকে এগিয়ে দেন রায়ান চের্কি। তার ঠিক ৫ মিনিট পরেই চতুর্থ গোলের দেখা পান লিঁওর ফুটবলার আলেক্সান্ডার লাকাজেড। তারা যখন সেমিতে ওঠা থেকে কেবল কয়েক মিনিট দূরে তখনই ম্যানইউর হয়ে পরপর দুই গোল করেন ব্রুনো ফার্নান্দেস ও কোবি মাইনো। দুই দলই যখন ৪-৪ সমতায় দাঁড়িয়ে, তখনই ইংলিশ ক্লাবটির হিরো হয়ে ওঠেন হ্যারি ম্যাগুইয়ার। তার ১২১ মিনিটের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংলিশ ক্লাবটি।
সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাতলেটিকো বিলবাও।