বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে জিম্বাবুয়ে?
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার পর বাংলাদেশ দল আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেনি। তবে অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আগামীকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সকাল দশটায় প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে দুই দল।
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচকে দেশের ক্রিকেট ভক্তরা ততটা মূল্যায়ন করেন না। তাদের মতে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সময় যখন খারাপ যায়, তখনই জিম্বাবুয়েকে সিরিজ খেলতে ডাকে বিসিবি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে পরিসংখ্যানের দিকে চোখ দিলে জিম্বাবুয়েকে পিছিয়ে রাখার উপায় নেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে খুব একটা পিছিয়েও নেই তারা। ১৮ টেস্টে বাংলাদেশের ৮ জয়ের বিপরীতে তারা জিতেছে ৭ টি। বাকি তিন ম্যাচ ড্র হয়েছে। শেষ দশবারের দেখায় অবশ্য ৭ জয়ই বাংলাদেশের। সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচেও ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা।
এ ম্যাচকে সামনে রেখে কথা বলেছেন দুই দলের অধিনায়কই। টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত ছোট করে দেখছেন না জিম্বাবুয়েকে। আজ সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘‘ আমি মনে করি আমাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে ছোট দল কিংবা বড় দল বলে কিছু নেই। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা বা অন্য বড় দলের বিপক্ষে যে মানসিকতা নিয়ে খেলি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও সেই মানসিকতা নিয়ে খেলতে চাই।’
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্ভীক মানসিকতা নিয়ে খেলতে চাই। দলের ছেলেরা বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। তবে সিরিজ নিয়ে দীর্ঘ প্রস্তুতি তাদের নিজেদের মেলে ধরার জন্য আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে। ভিন্ন কন্ডিশনেও টেস্ট ক্রিকেট খেলাটা উপভোগ করতে চাই আমরা।’
এদিকে বিশ্ব ক্রিকেটে যেখানে প্রতিটি সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব নিয়ে থাকে তুমুল আগ্রহ, সেখানে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজ নিয়ে দেখা দিয়েছিল সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়েও কোনো সম্প্রচারকারী আগ্রহ দেখায়নি। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে শেষ মুহূর্তে এগিয়ে এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন-বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)।
বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচ খেলেছে ১৫০ টি। যার মাঝে জিতেছে ২২ টি ম্যাচ। ১১০ টি ম্যাচে হারার পাশাপাশি ড্র হয়েছে ১৮ টি ম্যাচ। অন্যদিকে ১১৫ টেস্ট খেলা জিম্বাবুয়ে জয় পেয়েছে মাত্র ১৩ টিতে, হেরেছে ৭৪ টি।