জিম্বাবুয়ের বোলিংয়ের সামনে বাংলাদেশ যেন তাসের ঘর!
শেষ কয়েক ম্যাচে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর দলের বিপর্যয় সামলানোর কাজটা করতেন জাকির আলি। তবে আজ আর তিনি পারলেন না। ২৯ রান করে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন তখন ১৯১ করেই ৯ উইকেট শেষ বাংলাদেশের। এরপর শেষ উইকেটে আর কোনো রান যোগ করতে পারেনি বাংলাদেশ। আর তাতেই প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে গেছে টাইগাররা।
দিনের শুরুটা দেখেশুনেই করেছিল বাংলাদেশ। তবে ৩০ পেরোতেই ছন্নছাড়া দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। দুজনেই ফিরেছেন মাত্র ১ রানের ব্যবধানে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক চেষ্টা করছেন বিপর্যয় সামলানোর। তাদের ব্যাটিংয়ে ব্যাটিংয়ে ৮৪ রানে দুই উইকেটে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
তবে দ্বিতীয় সেশনে এসেই আবারও ছন্দপতন শান্তদের। দ্বিতীয় সেই সেশনে খেলা হয়েছে ২৬ ওভার। সেখানে মাত্র ৭০ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারিয়েছে ৫ উইকেট। এই সেশনে প্রত্যাশা ছিল দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাবেন শান্ত ও মুমিনুল। তবে তাদের ৬৬ রানের জুটি ভাঙে ব্যক্তিগত ৪০ রান করে অধিনায়ক শান্তর বিদায়ের পর। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও ব্যাট হাতে ব্যর্থ এদিন। করেছেন মাত্র ৪ রান। তবে উইকেটের অপর প্রান্ত থেকে ক্যারিয়ারের ২২ তম অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল। তবে তিনিও স্থায়ী হতে পারেননি। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৫৬ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই ব্যাটার।
মুমিনুলের বিদায়ের পর প্রত্যাশা ছিল মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলি বড় পার্টনারশিপ করে দলকে বিপদ মুক্ত করবেন। তবে মিরাজ পারলেন না। পরের ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ১ রানেই আউট হতে হয়েছে তাকে।
তৃতীয় সেশনে অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪১ রানের জুটি গড়েছিলেন জাকের ও হাসান মাহমুদ। তবে হাসান ফিরে যান ব্যক্তিগত ১৯ রান করে। এরপর জাকেরও বড় রান করতে পারেননি। তাতেই ঘরের মাঠে মাত্র ১৯১ রানেই অলআউট বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি নিয়েছেন ৩ টি করে উইকেট। আর দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ভিক্টর নিয়াউচি ও ওয়েসলি মাদেভেরে।