প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের কাছে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ
নিজেদের প্রথম ইনিংসে অলআউট মাত্র ১৯১ রানে। প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের বোলাররা ম্যাচে ফিরাবে দলকে। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি। ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ার পর বোলাররাও পেলেন না কোনো উইকেটে দেখা। দিন শেষে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের পাত্তাই দেননি দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান। বেনেট ব্যাট করেছেন ওয়ানডে মেজাজে আর দেখেশুনে খেলেছেন কারান। ৩৭ বলে ৪০ রানে অপরাজিত আছেন বেনেট আর ১৭ রানে অপরাজিত আছেন কারান। আর তাতেই প্রথম দিন শেষে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অনেকটাই পিছিয়ে পড়লো টাইগাররা। মাত্র ১২৪ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের হাতে আছে ১০ উইকেট।
এর আগে ব্যাটিংয়েও ছন্নছাড়া বাংলাদেশ দল। প্রথম সেশনে ৮৪ রানে দুই উইকেটে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় সেশনে এসেই আবারও ছন্দপতন শান্তদের। দ্বিতীয় সেই সেশনে খেলা হয়েছে ২৬ ওভার। সেখানে মাত্র ৭০ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারিয়েছে ৫ উইকেট। এই সেশনে প্রত্যাশা ছিল দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাবেন শান্ত ও মুমিনুল। তবে তাদের ৬৬ রানের জুটি ভাঙে ব্যক্তিগত ৪০ রান করে অধিনায়ক শান্তর বিদায়ের পর। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও ব্যাট হাতে ব্যর্থ এদিন। করেছেন মাত্র ৪ রান।
উইকেটের অপর প্রান্ত থেকে ক্যারিয়ারের ২২ তম অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল। তবে তিনিও স্থায়ী হতে পারেননি। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৫৬ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই ব্যাটার।
মুমিনুলের বিদায়ের পর প্রত্যাশা ছিল মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলি বড় পার্টনারশিপ করে দলকে বিপদ মুক্ত করবেন। তবে মিরাজ পারলেন না। পরের ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ১ রানেই আউট হতে হয়েছে তাকে।
তৃতীয় সেশনে অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪১ রানের জুটি গড়েছিলেন জাকের ও হাসান মাহমুদ। তবে হাসান ফিরে যান ব্যক্তিগত ১৯ রান করে। এরপর জাকেরও বড় রান করতে পারেননি। তাতেই ঘরের মাঠে মাত্র ১৯১ রানেই অলআউট বাংলাদেশ।