নাহিদের তোপে ফেরার চেষ্টায় বাংলাদেশ
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ম্যাচের গতি পাল্টে দিয়েছে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ, যার নেতৃত্বে ছিলেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। তার গতিময় বোলিংয়ে ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ের প্রথম সারির ব্যাটিং। লাঞ্চ পর্যন্ত সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৩৩ রান, যা বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ১৯১ রানের থেকে মাত্র ৫৮ রানে পিছিয়ে। ৩ উইকেট তুলেছেন নাহিদ।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই প্রথম সাফল্য এনে দেন নাহিদ, যখন তিনি বেন কারানকে ফিরিয়ে দেন এবং ভেঙে দেন উদ্বোধনী জুটি। এরপর বিদায় করেন আগের দিন ওয়ানডে ধাঁচে ব্যাট করে অর্ধশতক পাওয়া ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর নিক ওয়েলচকে থামান হাসান মাহমুদ।
তবে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত আসে লাঞ্চের ঠিক আগে। সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার ক্রেইগ আরভাইন, কিন্তু তিনিও নাহিদের পেসের কাছে হার মানেন। উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সফরকারীরা।
নাহিদের দারুণ বোলিংয়ে যেমন জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, তেমনি শন উইলিয়ামস চেষ্টা করছিলেন রানের গতি ধরে রাখতে। ৫৭ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। অন্যপ্রান্তে ওয়েসলি মাধেভেরে মাত্র ৩ বল খেলে ৪ রান করেছেন, কিন্তু তার সেই চার ব্যাটের কানায় লেগে গালিতে ক্যাচ হতে পারত—যা থেকে বোঝা যায়, পেস সামলাতে তার কতটা কষ্ট হচ্ছিল।
বাংলাদেশের পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদও রেখেছেন অসাধারণ চাপ। উইলিয়ামসকে বেশ কয়েকবার বিপাকে ফেলেন তিনি। এমন চাপ এবং আগুন ঝরানো বোলিংয়ের পর বাংলাদেশের সামনে এখন লিড নেওয়ার সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের পক্ষে দিনটি শুরু হয়েছিল চাপ নিয়ে, কিন্তু দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে তারা ম্যাচে ভালোভাবেই ফিরে এসেছে। জিম্বাবুয়ের ইনিংস দাঁড়িয়ে আছে ১৩৫ রানে ৪ উইকেটে, আর স্বাগতিকরা এখন স্বপ্ন দেখছে লিডের।