জিম্বাবুয়ের লিড বড় হতে দিলেন না মিরাজ
৬ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে চা-বিরতিতে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন নায়াশা মায়াভো। ২২ রানের লিড নিয়ে বিরতিতে যাওয়া জিম্বাবুয়ে স্বপ্ন দেখছিল বড় সংগ্রহের। তবে দিনের তৃতীয় সেশনে সফরকারীদের লাগাম টেনে ধরলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। শেষ চার উইকেটের সবগুলো একাই নিয়েছেন। আর তাতেই ৫২ রান দিয়ে ক্যারিয়ারে ১১ তম বারের তম পাঁচ উইকেটের দেখা পেলেন তিনি। অন্যদিকে ২২ রানের লিড নিয়ে সেশন শুরু করা জিম্বাবুয়ে আটকে গিয়েছে এর পর আর ৬০ রান যোগ করেই। ৮২ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বিরতির পর তৃতীয় ওভারেই জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন মিরাজ। ৫ রান যোগ করতেই সপ্তম উইকেট হারায় ক্রেইগ আরভিনের দল। ৫৪ বলে ৩৫ রান করা মায়াবোকে এলবিডিব্লিউ এর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। এরপর এক ওভার বাদ দিয়ে আবারও মিরাজ ঝলক। ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে এই অলরাউন্ডার তুলে নেন ম্যাচে তার তৃতীয় উইকেট। এরপর ব্লেসিং মুজারাবান ও রিকার্ড নাগারাভার ৩৮ বলে ৩৬ রানের জুটি ভয় ধরাচ্ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে মিরাজের বলে ১৭ রান করে ফিরে যান মুজারাবনি। আর নতুন বল হাতে পাওয়ার পর দ্বিতীয় বলেই জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট তুলে নেন মিরাজ। তাতেই পূর্ণ হয় তার ১১ তম পাঁচ উইকেটের মাইলফলক।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার নাহিদ রানা, যখন তিনি বেন কারানকে ফিরিয়ে দেন এবং ভেঙে দেন উদ্বোধনী জুটি। এরপর বিদায় করেন আগের দিন ওয়ানডে ধাঁচে ব্যাট করে অর্ধশতক পাওয়া ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর নিক ওয়েলচকে থামান হাসান মাহমুদ।
৪ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে দিনের দ্বিতীয় সেশন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ তখনও এগিয়ে ৫৮ রানে। শন উইলিয়ামস ও ওয়েসলি মাদেভেরের ৪৮ রানের জুটিতে দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। মাদেভেরে ২৪ ও শন উইলিয়ামসম আউট হয়েছেন ৫৯ রানে। প্রথম সেশনে ৪ উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হলেও দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ নিয়েছিল দুই উইকেট। বিপরীতে জিম্বাবুয়ে করেছিল ৮০ রান। তৃতীয় সেশনে ৬০ রান তুলতেই বাকি ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা।
মিরাজের পাঁচ উইকেট ছাড়াও পেসার নাহিদ রানা নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া খালেদ আহমেদ ও হাসান মাহমুদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।