কপালে না থাকলে বিশ্বকাপে খেলা হতো না:জ্যোতি
এ বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে বসবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩ তম আসর। এই আসরে সুযোগ পেতে অনেক চড়াই-উতরাই পাড় করতে হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে। বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতলেই সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পেত টাইগ্রেসরা। তবে সে ম্যাচ হেরে বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে বাছাইপর্ব।
বাছাইপর্বেও হয়েছে অনেক নাটকীয়তা। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের টিকিট ছোঁয়ার খুব কাছে চলে গিয়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। শেষ দুই ম্যাচে প্রয়োজন ছিল এক জয়ের। তবে দুই ম্যাচই হেরে বসে তারা। তাতেই বিশ্বকাপের সমীকরণ চলে যায় অন্যদের হাতে।
দুই ম্যাচ হারের পর জ্যোতিদের তাকিয়ে থাকতে হয়েছে থাইল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের দিকে। সে ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপ প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েরা। কিন্তু সমীকরণের মারপ্যাঁচে রান রেটে বাংলাদেশের চেয়ে মাত্র ০.০১ পিছিয়ে থেকে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়েছে তাদের। আর তাতেই ভাগ্য খুলেছে জ্যোতিদের।
বাছাইপর্ব থেকে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হওয়ার পর আজ দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। এসময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতি বলেন, 'আমরা প্রথমদিকে ভালোই করেছিলাম। যেহেতু শেষ দিকে আমাদের ওই সুযোগটা ছিল যে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারব। শুরুতে আমরা ভালো চেষ্টা করেছি, তো স্টিল প্রথম তিন ম্যাচে ভালো করার ফলে কিন্তু আমরা সুযোগ পেয়েছি। তবে দুইটা ম্যাচ ভালো করতে পারিনি। থাইল্যান্ডের রান দেখে মনে এতটুক বিশ্বাস ছিল যে সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাদের যে টার্গেট ছিল হিউজ। তো স্টিল তারা যেভাবে করেছে, আল্লাহ আসলে কপালে না রাখলে হতো না।'
এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শেষ দুই ম্যাচ বাদে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি। হয়েছেন টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার আগে অবশ্য আছেন আরও এক বাংলাদেশি। ২৬৬ রান করে শারমিন আক্তার আছেন দুই নম্বরে।