নাটকীয়তায় ভরা ফেডারেশন কাপ ফাইনাল ‘পরিত্যক্ত’
ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয়েছিল বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী। উত্তেজনাপূর্ণ এ ম্যাচের আসর গড়িয়েছিল ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়াম। তবে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উত্তাপ অনেকটা হারিয়েছিল ম্যাচটি। পরে বৃষ্টি কমলে ম্যাচ মাঠে গড়ালেও সেই অর্থে খেলা হয় নি। নির্ধারিত সময়ের পরে অতিরিক্ত সময় য্গে করা হয় পরে। সেখানেও অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ১৫ মিনিট গেলেও গোলের দেখা পায় নি কোনো দল। আর ওই মাঠে ফ্লাডলাইট না থাকায় আলোক স্বল্পতায় ফাইনাল স্থগিত করেছে রেফারি।
জানা গেছে, বাফুফের লিগ কমিটি অতিরিক্ত সময়ের পরবর্তী দিন ও সময় নির্ধারণ করবে।
ময়মসসিংহে আজ ম্যাচের শুরুতেই নিজেদের শক্তিমত্তার জানা দিয়েছিল বসুন্ধরা। ম্যাচের ৪র্থ মিনিটে সাদউদ্দিনের দূরপাল্লার শট অবশ্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে ৬ষ্ট মিনিটেই গোলমুখ খুঁজে নেন হুয়েন লাসকেনো। সাদের ফ্রি কিকে হেড দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায় লাসকানো। বলের নাগাল পাওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না মিতুল মারমার সামনে। ফলে কিংসের হয়ে প্রথম গোল পেলেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
অবশ্য ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় নেয়নি আবাহনী। কিংসের রক্ষণভাগের দুর্বলতায় খুব সহজেই ১৫ মিনিটে এমেকা ওগবুহর চুল ছেড়া ক্রস তিন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে খুঁজে নেয় মোহাম্মদ ইব্রাহিম। আলতো টোকায় ইব্রাহিম নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করতে কোনো ভুল করেননি। তাতে সমতায় ফিরে আবাহনী। এরপর উভয়দল ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করলেও তা খুব একটা কাজে দেয় নি। তাতে ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের ম্যাচে হানা দিয়েছে কালবৈশাখি। যে কারণে লন্ডভন্ড হয়ে যায় মাঠে বসানো অস্থায়ী ডাগআউট। পরে বুষ্টি থামলে খেলা মাঠে গড়ালেও কার্যত ম্যাচ হয় নি তেমন একটা। মাঠের নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় অনেকটা কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল মাঠে খেলতে হয় খেলোয়াড়দের। এরইমাঝে ৪৮ মিনিটে রাকিবের হেডে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল বসুন্ধরা। তবে লাফিয়ে অসাধারণ এক সেভ দেন আবাহনী গোলরক্ষক মিতুল মারমা। পরে স্কোয়াডে অদলবদল আনলেও নির্ধারিত সময়ে কোনো গোলের দেখা পায় নি কোনো দল। ফলে অতিরিক্ত সময় যোগ করেন রেফারি।
অতিরিক্ত সময় যোগ করলেও মাঠ পিচ্ছিল থাকায় শটে জোর ছিল না। শেষ দিকে আবাহনীই বেশি আক্রমণে যায়। কিন্তু গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে আরও নিজেদের বিপদ বাড়ায় বসুন্ধরা। ১০২ মিনিটে সুমনকে পেছন থেকে অযথা ফাউল করে মাটিতে ফেলে দিলে লাল কার্ড দেখেন ফাহিম। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ায় ম্যাচ কঠিন হয়ে যায় বসুন্ধরার জন্য।