সুবিধা বাড়লেও সাফল্য অধরাই, নেতৃত্বে ভুল স্বীকার শান্তর
সিলেট মাটিতে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিশালী দল। তা আবারও প্রমাণ করলো তারা। ৭ বছর আগে এই মাঠেই বাংলাদেশকে হারিয়েছিল দলটি। আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখলো বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। আগের ১০ টেস্টে জয়হীন জিম্বাবুয়ে ঘরের মাঠে হারিয়ে দিল বাংলাদেশকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন হারের দায়ভার নিজের কাঁধে নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে ৩ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। নতুন ক্রিকেট খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিরিজ শুরু করলেও, পুরোনো ভুল আর ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খেয়েছে টাইগাররা। সুযোগ–সুবিধা বাড়লেও মাঠে তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। এমন হারের পর ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, জানিয়েছেন-এই হার তাঁর নেতৃত্বেই এসেছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সম্প্রতি বাড়িয়েছে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি ও বেতন। টেস্ট ম্যাচ ফি ৬ লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ লাখ টাকা, ওয়ানডেতে ৬ ও টি–টোয়েন্টিতে আড়াই লাখ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। এতসব বাড়তি সুবিধার পরও মাঠে পারফরম্যান্সে ধস ঠেকানো যাচ্ছে না। বিষয়টি উঠতেই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে খানিক বিরক্তি প্রকাশ করলেও শান্ত শেষ পর্যন্ত দায় এড়াননি।
এক পর্যায়ে সাংবাদিকের প্রশ্ন থামিয়ে দিয়ে শান্ত হেসে বলেন, 'বেতন বাড়াতে মনে হয় আপনারা খুশি না?' এরপর সংযত হয়ে বলেন, 'বোর্ড সাহায্য করেছে, এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য আসলে দায়বদ্ধতা আর দায়িত্ব নিয়ে খেলা-এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'
চার দিনের টেস্টে একবারও ছন্দে দেখা যায়নি বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর জিম্বাবুয়ে তোলে ২৭৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫৫। ১৭৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে মিরাজ–তাইজুলের দারুণ স্পিনে কিছুটা চাপে পড়লেও শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক শান্ত বলেন, “ম্যাচটা আমি একাই হারিয়েছি। আমি সময় নিতে পারতাম। আমার আউটটাই পুরো খেলাটা নষ্ট করে ফেলেছে। সকালে আমার আউটটাতেই মোমেন্টামটা ওদের দিকে চলে গেছে।” তিনি আরও যোগ করেন, 'পুরো ম্যাচ বিশ্লেষণ করলে বুঝবেন, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি। হতাশাজনক তো অবশ্যই।'
যেখানে মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম বল হাতে ম্যাচে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন, সেখানে ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। শান্ত নিজেই স্বীকার করেছেন, 'আমার আউট পুরো ব্যাটিংটা নষ্ট করে ফেলেছে। বোর্ডে যথেষ্ট রান ছিল না। তবে মিরাজ-তাইজুল অসাধারণ চেষ্টা করেছে।'