ফাইফার নিয়ে সমালোচনার জবাব তাইজুলের
১৬১ রানে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে দল। হাতে তখন ৮ উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই বড় রানের স্বপ্ন দেখছিল সফরকারীরা। এছাড়া প্রথম ম্যাচ জয়ের পর এমনিই সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল তারা। তবে তৃতীয় সেশনে এসেই বল হাতে ভেলকি দেখালেন তাইজুল ইসলাম। চা বিরতির পর এই স্পিনার একাই ধসিয়ে দিয়েছেন জিম্বাবুয়েকে। তার সঙ্গ দিয়েছেন নাইম ইসলাম। আর তাতেই শেষ সেশনটা নিজেদের করে নিয়ে ম্যাচে ফিরেছে টাইগার।
তৃতীয় সেশনে চার উইকেটসহ এদিন তাইজুল নিয়েছেন মোট ৫ উইকেট। তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬ তম ফাইফার এটি। তবে বল হাতে দলকে অজস্র সাফল্য এনে দেওয়া তাইজুল সব সময়ই পর্দার আড়ালে রয়ে যান। এক ম্যাচ খারাপ করলেই তাকে নিয়ে বয়ে যায় সমালোচনার বন্যা। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে বল হাতে তাইজুল নিয়েছিলেন মাত্র দুই উইকেট। সিলেট টেস্টে বল হাতে নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারা তাইজুল এদিন সমালোচনার জবাব দিয়েছেন নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে।
প্রথম টেস্টে ব্যর্থতার কথা তাইজুলও স্বীকার করেছেন নিজেও। সে ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের পর আজকের পাঁচ উইকেট কতটা স্বস্তির এমন প্রশ্নের উত্তরে তাইজুল বলেন, ‘এটা সন্তুষ্টির বিষয়। কারণ একটা খেলোয়াড় যখন ৫০টা টেস্ট খেলে ফেলবে, সিলেটে যেভাবে আমি বল করেছি, সেটা ভালো ছিল না। নিজেকে ফিরে পেয়েছি, এটা একটা ভালো লাগার বিষয়। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে দলকে আমি সাহায্য করতে পেরেছি।’
সিলেট টেস্টে জয়ের পর জিম্বাবুয়ে স্বপ্ন দেখছে ২১ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারের পর সমালোচিত হয়েছেন ক্রিকেটাররা। সমালোচনার জবাবে তাইজুল বলেন, ‘একটা ম্যাচ দেখে যারা সমালোচনা করে, আমার মনে হয় না তারা খেলা বোঝে।’
এদিন পর পর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে তাইজুল দাঁড়িয়ে ছিলেন হ্যাটট্রিকের সামনে। তবে তা সম্ভব হয়নি। ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক আছে তার। হ্যাটট্রিক না হওয়ায় মন খারাপ হয়েছে কিনা তার জবাবে তিনি বলেন, ‘আফসোস নেই। হ্যাটট্রিক জীবনে বারবার আসে না। হয় নাই, একটু খারাপ তো লাগতেই পারে।’