সেমিফাইনালের ইতিহাসে ফিরে এলো গোল উৎসব
চলতি মৌসুমে ইউরোপের সবচেয়ে কম গোল খাওয়া দল ইন্টার মিলান। বিপরীতে বার্সেলোনা মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা। দুই বিপরীত ধারার দুই দলের লড়াই মানেই উত্তেজনা—আর সেই উত্তেজনাই উপহার দিল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০২৪-২৫ সেমিফাইনালের প্রথম লেগ। স্পেনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দুই দলের মহারণ শেষ হয়েছে রোমাঞ্চকর ৩-৩ গোলে।
ম্যাচের শুরুতেই চমক দেখায় ইন্টার। কেবল ৩০ সেকেন্ডেই দৃষ্টিনন্দন ব্যাকহিল গোলে দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এটি চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম গোল। ২১তম মিনিটে ওভারহেড কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডেঞ্জেল ডামপ্রিস।
তবে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও হতোদ্যম হয়নি বার্সেলোনা। ২৪তম মিনিটে নিজের ১০০তম ম্যাচে নজরকাড়া এক গোল করেন ১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল। ইন্টারের পাঁচ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দুর্দান্ত এক শটে বল জালে জড়ান এই তরুণ, যা তাকে বানিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতা। পেছনে ফেলেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পেকে।
৩৮তম মিনিটে রাফিনিয়ার অ্যাসিস্টে ফেরান তরেস গোল করে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান। এক মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সার হয়ে গোল অবদানে (২০টি) লিওনেল মেসির রেকর্ডে স্পর্শ করেন রাফিনিয়া।
বিরতির পর ৬৪তম মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় ইন্টার, গোল করেন ডামপ্রিস। এক ম্যাচে তিনটি গোলে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে ইতিহাস গড়েন তিনি-এটাই কোনো ডাচ ফুটবলারের প্রথম এমন কীর্তি।
তবে মাত্র দুই মিনিট পরই সমতায় ফেরে বার্সা। ইয়ামালের দুর্দান্ত ডামির পর রাফিনিয়ার শট ক্রসবারে লেগে গোলরক্ষক ইয়ান সোমারের পিঠে লেগে জালে প্রবেশ করে।
৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে এই ম্যাচ হয়ে ওঠে এক ইতিহাস গড়া সন্ধ্যা। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে ১৯৯৯ সালের পর এত গোলের ড্র আর দেখা যায়নি। এখন অপেক্ষা দ্বিতীয় লেগের জন্য-আগামী সপ্তাহে সান সিরোয় নির্ধারিত হবে ফাইনালে যাচ্ছে কারা?
