দুই উইকেটের স্বস্তি, সঙ্গে আছে আফসোসও
এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের দেখানো পথেই এগোচ্ছে যেন। মানে প্রথম দিনে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে, আজ সফরকারীরাও এগোচ্ছে সেভাবেই। প্রথম সেশনে দুই উইকেট, রানও কাছাকাছি; দ্বিতীয় সেশনেও তাই।
তবে একটা জায়গায় আলাদা হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ড। আর তা হলো, গতকাল নিউজিল্যান্ড চা খেতে গিয়েছিল দুটো উইকেটের স্বস্তি নিয়ে, বাংলাদেশও তা নিয়ে যাচ্ছে বটে, তবে দলটার সঙ্গী হিসেবে আছে কেন উইলিয়ামসনের উইকেট না পাওয়ার আফসোসও।
ঘটনার শুরু প্যাভিলিয়ন এন্ড থেকে নাঈম হাসানের করা ৪৯তম ওভারে। সে ওভারে কী সব হয়নি! এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আম্পায়ার, দল অবশ্য রিভিউ নেয়নি। এর এক বল পর উইলিয়ামসনের ব্যাটে লেগে বল গেল উইকেটের পেছনে, তবে লেগ স্লিপ পর্যন্ত যাওয়ার আগেই মাটিতে পড়ল তা। শেষ বলে তা হলো না। উইলিয়ামসনকে শান্ত চেপে ধরেছিলেন ফরোয়ার্ড শর্টলেগ আর লেগ স্লিপ দিয়ে। গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে খানিকটা ফুলার লেন্থের বলটা তুলে মারতে চেয়েছিলেন তিনি, এরপর বলটা গিয়ে পড়ল তাইজুল ইসলামের কোলে, সেটা শেষমেশ আর তিনি কবজায় রাখতে পারেননি। বাংলাদেশ পোড়ে আফসোসে।
সেশনের অষ্টম ওভারে স্বাগতিকদের প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। হেনরি নিকলসকে ফেরান উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলিয়ে। এরপরের উইকেটটার জন্য অবশ্য বাংলাদেশকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হতো না, যদি না ৩৪তম ওভারে রিভিউ নেওয়া হতো। নিকলসকে যেমন বলে ফিরিয়েছিলেন, তার প্রায় পুনরাবৃত্তিই ঘটিয়েছিলেন ড্যারিল মিচেলের ক্ষেত্রে। কিন্তু আম্পায়ারের মনে হলো না তা আউট ছিল, মাঠের কারোই মনে হলো না। তবে টিভি রিপ্লে পরে দেখাল আউটসাইড এজ ছিল বলটায়, তখন আফসোস করা ছাড়া আর উপায় ছিল না দলের।
বাংলাদেশকে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। জুটিতে ৫০ যোগ করার পর তা ভাঙেন তাইজুল। মিচেলকে সামনের পায়ে এনে শার্প টার্নে পরাস্ত করেন তাকে, পেছনে নুরুল হাসান সোহান সুযোগটা কাজে লাগান স্টাম্পিং করে।
শান্তর অধিনায়কত্ব এই সেশনে বেশ সাফল্য এনে দিয়েছে দলকে। দুটো উইকেট যে এসেছে, তা দুই বোলিং পরিবর্তনেই। তার করা ফিল্ড সেট আপের ফলে তৃতীয়টাও হয়ে যেত, যদি না তাইজুল ওভাবে মিস করতেন! তাই বাংলাদেশের সেশনটা শেষ হয়েছে স্বস্তির সঙ্গে খানিকটা আফসোস নিয়েও।