লিড পাবেই, বিশ্বাস নিউজিল্যান্ডের
দল পিছিয়ে ৪৪ রান, উইকেট হাতে আছে আর দুটো। তিন ব্যাটার যারা ব্যাট করবেন টিম সাউদি, কাইল জেমিসন আর এজাজ পাটেল। তবে এরপরও নিউজিল্যান্ড আশা হারাচ্ছে না লিডের। কোচ লুক রঙ্কির কথায়ও ঠিকরে বেরিয়ে এল সে আত্মবিশ্বাসটা।
লিডের বিষয়ে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, আমার মনে হয় আমাদের এখনো বিশ্বাস আছে আমরা তা পারব। বাংলাদেশ খুবই ভালো বল করেছে, বল যখন টার্ন করেছে আমাদের অনেক চাপে ফেলে দিয়েছে। সঙ্গে শরিফুলও বেশ ভালো বল করেছে। আমাদেরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে উঠেছিল। যে রানটা উঠেছে স্কোরবোর্ডে, তা করতে আমাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। দুটো উইকেট হাতে আছে আমাদের, আশা করছি সকালে আমরা ফিরব যখন, তখন এরা আরও কিছু রান করে আমাদেরকে বাংলাদেশের কাছে নিয়ে যেতে পারবে।’
কেন উইলিয়ামসনকে প্রশংসায় ভাসালেন তিনি। বল দ্বিতীয় দিন থেকেই ঘুরছিল বেশ। সে উইকেটে উইলিয়ামসন বেশ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে করেছেন ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরি। তার বিষয়ে রঙ্কি বললেন, ‘তার ২৯টা সেঞ্চুরি হলো। আপনি দেখুন, পুরো বিশ্বেই সে রান করেছে। সে দারুণ, যেভাবে সে ভিন্ন ভিন্ন আক্রমণ, ভিন্ন ভিন্ন বোলার, আলাদা রকমের উইকেটকে সামলায়, আর সে যে শান্ত থাকে তা করার সময়, তা অবিশ্বাস্য। সে অনেক করেছে এমন রান। আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রাও দেখছে সে যেভাবে খেলছে। তার সঙ্গে অনেকেই ক্রিকেট খেলেছে। তার এমন পারফর্ম্যান্স দেখা, যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই নিজ দেশের কাউকে এভাবে পারফর্ম করতে দেখাটা দারুণ আনন্দের। প্রতিপক্ষের জন্যেও। তাকে দেখাটা সবসময়ই বেশ ভালো অনুভূতি দেয়।’
আক্রমণাত্মক শটে অনেক উইকেট খুইয়েছে নিউজিল্যান্ড। তবে কোচ রঙ্কির চোখে এটা খেলোয়াড়রদের স্বাভাবিক খেলারই অংশ। তার কথা, ‘খেলোয়াড়রা এমন শট স্বাভাবিকভাবেই খেলে। এটা তাদের স্কোরিং অপশন, প্রতিপক্ষকে আরও বেশি চাপে ফেলে দেয় এভাবে। আমি মনে করি তাদের সবাই ভালো শুরু করেছিল, তবে সবারই বোধ হয় আরও বেশি রান যোগ করতে পারলে নিজেদের ভালো লাগত।’
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেটে প্রথম দিনেই স্পিন দেখা গেছে বেশ। দ্বিতীয় দিনে আধিপত্যটা বেড়েছেই। তবে সিলেটের এই উইকেটকে প্রশংসায় ভাসালেন তিনি। বললেন, ‘উইকেট তো এমনই হওয়া উচিত। এটাই টেস্ট ম্যাচ ক্রিকেট। আমার মনে হয় সময়ের সাথে সাথে পিচ ভাঙছে, টার্ন আরও বাড়বে। মুমিনুল শেষ দিকে বেশ টার্ন পাচ্ছিল। সামনে আরও বেশি পরিবর্তন আসবে। টেস্ট ক্রিকেটকে এটাই বেশি রোমাঞ্চকর বানিয়ে দেয়।’
চতুর্থ ইনিংসে কতো রানের লক্ষ্য হলে খুশি হবেন, প্রশ্নটায় যেন খানিকটা বিরক্তই হলেন তিনি। তার অভিমত, দলের সামনে এখনো নিজেদের ইনিংস, আর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস পরে আছে; সেগুলো শেষেই না নিজেরা নামবে দ্বিতীয় ইনিংসে! তাই তিনি অত দূরের কথা ভাবতে চাইলেন না মোটেও।
তার কথা, ‘আমরা অতো বেশি ভাবিনি। কারণ আমরা কালও ব্যাট করব। এটা নির্ভর করবে আমরা কত দূর ব্যাট করতে পারি তার ওপর। আমি মনে করি কাল এবং আমরা যেভাবে বোলিং করি তার ওপর নির্ভর করবে চতুর্থ ইনিংসে সামলে লক্ষ্যটা কত থাকবে। এখনই চতুর্থ ইনিংসের রান নিয়ে ভাবাটা বেশি আগে হয়ে যায়। আমাদের সামনে কাজ আছে। কাল সাউদি জেমিসনরা যাবে ব্যাট করতে, যতক্ষণ পারা যায় ব্যাট করবে, এরপর এজাজ পাটেল আসবে। এরপর আমরা বোলিং নিয়ে ভাবব। আরও অনেক ক্রিকেট বাকি এখনো।’