বৃষ্টির কারণে বল সুইং হচ্ছিল বেশ, সেটা আদায় করেই যশপ্রীত বুমরাহ তুলে নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রথম উইকেট। তবে আসল খেলাটা দেখালেন মোহাম্মদ সিরাজ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই তুলে নিলেন একটি নয়, দুটি নয়, চার চারটি উইকেট।
নিজেদের দ্বিতীয় আর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শুরু তার তাণ্ডবের। তার বলে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন পথুম নিসাঙ্কা। এর এক বল পরই সাদিরা সামারাবিক্রমাকেও ফেরান সিরাজ। এরপর চারিথ আসালঙ্কাকেও ফিরিয়ে জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা।
তবে হ্যাটট্রিক বলে চার হজম করেন তিনি। এরপরের বলেই অবশ্য ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ফেরেন তার শিকার হয়ে। ১২ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বসে শ্রীলঙ্কা।
সিরাজের ঝড়টা সেখানে থামেনি। পরের ওভারে আবারও আক্রমণে এসে ধনাঞ্জয়াকে। ম্যাচের ষষ্ঠ ওভার আর নিজের ১৬তম বলে তিনি তুলে নেন ৫ উইকেট। গড়ে ফেলেন রেকর্ডও। তার চেয়ে দ্রুততম সময়ে কোনো ম্যাচে ৫ উইকেট নেই কোনো বোলারের।
ছয় নম্বর উইকেটটা পেতে একটু সময় নিলেন। তবে সেটা যখন পেয়েই গেলেন কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করে, তখন গড়ে ফেললেন রেকর্ডও এশিয়া কাপ ফাইনালে সবচেয়ে বেশি উইকেট দখলের রেকর্ড। ১৫ বছর আগে ভারতকে পুড়িয়ে যে কীর্তি গড়েছিলেন অজন্তা মেন্ডিস, সিরাজ যেন তা ছুঁয়ে সে ব্যথাটাই ফিরিয়ে দিলেন লঙ্কানদের।
৩৩ রানে ৭ উইকেট নেই। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কানদের বড় কিছু করার কথাও নয়। বুমরাহ আর সিরাজের দেখিয়ে দেওয়া পথটা অনুসরণ করেছেন হার্দিক পান্ডিয়াও। দুনিথ ভেল্লালাগে, প্রমোদ মাদুশান আর মাতিসা পাথিরানাকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের লেজ মুড়ে দেওয়ার কাজটা করে দেন তিনি। আর তাতেই লঙ্কানরা শেষ হয়ে যায় মোটে ৫০ রান তুলতেই!