স্মরণীয় জয়ে বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক
জয়টা আগের দিনই নিশ্চিত ছিল। শেষ দিনে স্রেফ আনুষ্ঠানিকতাটাই বাকি ছিল। সেটা বাংলাদেশ প্রথম আধঘণ্টাতেই সেরে ফেলবে কি না, তা নিয়ে একটা কানাঘুষা ছিল। যদিও নিউজিল্যান্ড হুঙ্কার ছেড়ে রেখেছিল, বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনি। নিউজিল্যান্ড শেষমেশ করল তাই। শুরুতে ড্যারিল মিচেল, এরপর টিম সাউদিরা বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে চাইলেন। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় যে লক্ষ্য এভারেস্টসম হয়ে গিয়েছে, তা টপকে যাওয়া কি এত সহজ?
নিউজিল্যান্ড শেষমেশ তা পারেওনি। তাদের তা করতে দেয়নি বাংলাদেশ। আরেকটু স্পষ্ট করে বললে তাইজুল ইসলাম। আগের দিন ৪ উইকেট নিয়ে ছিলেন ফাইফারের দুয়ারে, এদিন তুলে নিলেন আরও দুটো উইকেট। তাতে তিনি ম্যাচটা শেষ করলেন ১০ উইকেট নিয়ে। বাংলাদেশও পেয়ে গেল ১৫০ রানের দারুণ এক জয়। তাতে গড়া হয়ে গেল হ্যাটট্রিকও। চলতি বছর আয়ারল্যান্ড আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটো টেস্ট খেলে দুটোতেই জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ধরা দিল জয়। তাতে হ্যাটট্রিকটা পূরণ হয়েই গেল।
সকালে প্রথম উইকেটের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে বেশ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দিনের শুরুটা করেছিলেন একগাদা ক্লোজ ইন ফিল্ডার নিয়ে, এরপরও। দিনের নবম ওভারে গিয়ে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন নাঈম হাসান। ফেরান শেষ স্বীকৃত ব্যাটার ড্যারিল মিচেলকে। ফেরার আগে একটা ফিফটির দেখা তিনি পেয়ে গেছেন অবশ্য।
১৩২ রানে ৮ নম্বর উইকেটের দেখা পেয়ে গেলেও প্রতিপক্ষকে অলআউট করার আগে আরও ৫০ রান দিয়েছে বাংলাদেশ। টিম সাউদি আর ইশ সোধি মিলে গড়েছিলেন ৪৬ রানের জুটি। দলীয় ১৭৮ রানে সাউদিকে ফেরান তাইজুল, পেয়ে যান ক্যারিয়ারের ১২তম ফাইফারের দেখা। এরপর প্রায় একই কায়দায় সোধিকেও ফেরান তিনি। তাতেই তাইজুল নিজে পেয়ে যান ১০ উইকেটের দেখা, বাংলাদেশের হাতে ধরা দেয় ১৫০ রানের বিশাল, স্মরণীয় এক জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩১০/১০
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩১৭/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৩৮/১০
নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৩২) ৭১.১ ওভারে ১৮১/১০ (মিচেল ৫৮, সোধি ২২, সাউদি ৩৪, এজাজ ০*; শরিফুল ১/১৩, মিরাজ ১/৪৪, তাইজুল ৬/৭৫, নাঈম ২/৪০)।
ফল: বাংলাদেশ ১৫০ রানে জয়ী।
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১-০তে এগিয়ে।
ম্যাচসেরা: তাইজুল ইসলাম