ঝড় তুলে রেকর্ডবইয়েও তোলপাড় সিরাজের

ঝড় তুলে রেকর্ডবইয়েও তোলপাড় সিরাজের

‘একদিন স্বপ্নের দিন…’
মোহাম্মদ সিরাজের দিনটা যেন কাটল স্বপ্নের মতোই। তার কথাগুলো শুনুন, ‘আমি কাজটাকে সহজই রাখতে চেয়েছিলাম, তবে আমি উইকেটগুলো পেয়ে গেছি ঠিকঠাক’। এমন কিছু তো স্বপ্নের মতো কোনো এক দিনেই হয়! বল হাতে ঝড়টা তুললেন তিনি, তাতে শ্রীলঙ্কা তো লণ্ডভণ্ড হলোই, রেকর্ডবইয়েও যে এল একগাদা বদল!
সিরাজের দিনটা এমনই স্বপ্নের মতো হবে, এমনটা তার প্রথম ওভার শেষেও মনে হচ্ছিল না। দ্বিতীয় ওভারটা যখন শেষ করলেন, তখনই লঙ্কানদের ৫ উইকেট হাওয়া। তার চারটি উইকেটই সিরাজের ঝুলিতে।
তাতে প্রথম কীর্তিটা গড়ে ফেলেন তিনি। ভারতের হয়ে এর আগে এক দিনের ক্রিকেটে কোনও বোলার এক ওভারে চারটি উইকেট নেননি। হ্যাটট্রিক ছিল অনেকের, কিন্তু এই কীর্তিটা নয়। সেই তালিকায় নিজের নামটা লিখিয়ে ফেলেন সিরাজ।
এরপর সিরাজ যখন ফেরালেন দাসুন শানাকাকে, তার নামের পাশে যোগ হয়ে গেল ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রথম ফাইফার। একটা কীর্তিও তার হয়ে যায় তখনই। ৫ উইকেট তুলে নিতে তিনি করেছেন মোটে ১৬ বল, ওয়ানডে ইতিহাসে এর চেয়ে কম বলে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি নেই আর কারো। ২০০৩ বিশ্বকাপে এই ১৬ বলেই ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে কীর্তি গড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভাস।
এরপর কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে তুলে নেন নিজের ষষ্ঠ উইকেট। তাতে আরও একটা কীর্তিতে ভাগ বসান তিনি। ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেরা বোলিং ছিল পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিসের। ১৯৯০ সালে শারজায় ২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে সেই কীর্তি টপকে যান সিরাজ।
এশিয়া কাপের ফাইনালে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তিতেও ভাগ বসান তিনি। ২০০৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে অজন্তা মেন্ডিস ১৩ রানে তুলে নিয়েছিলেন ভারতের ৬ উইকেট। সিরাজ ভাগ বসান তাতেই।
আরও একটা উইকেট পেলেই সে কীর্তিটা ছাড়িয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তা আর হয়নি শেষমেশ। সেটা হয়ে গেলে আরও একটা কীর্তিও গড়ে ফেলতেন তিনি। ভারতের হয়ে কোনো বোলারই যে এক ওয়ানডেতে ৭ উইকেট তুলে নিতে পারেননি!
সে আক্ষেপ অবশ্য নেই সিরাজের। দল জিতেছে, তাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এর চেয়ে বেশি কিছু আর কেনই বা চাইবেন তিনি!

সম্পর্কিত খবর