টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি
না, প্রত্যাবর্তনের গল্পটা ঠিক লেখা হলো না। ২ গোলে পিছিয়ে থাকার পর ম্যাচে সমতা টেনেও কাজ হলো না। শেষটায় এসে হারতে হলো টাইব্রেকারে। কাতার বিশ্বকাপের মতোই পরিণতি দেখল অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল। ইন্দোনেশিয়ায় জার্মানদের কাছে হারল টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ফুটবল উপহার দেওয়া ফ্রান্সের কিশোররা। উঁচিয়ে ধরল নিজেদের ইতিহাসে প্রথম অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ট্রফি।
ম্যাচে বল দখল কিংবা আক্রমণ সব বিভাগেই ছিল ফ্রান্সের দাপট। তবুও কেন জানি ভাগ্য হাসেনি দলটির। ম্যাচের প্রথমার্ধে দারুণ ফুটবল খেলেও পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয়েছে ফ্রান্সকে। ফরাসিদের একাধিক আক্রমণের বিপরীতে একবার আক্রমণে উঠেই ঝলক দেখায় জার্মানি। ম্যাচের ২৯ মিনিটে আদায় করে নেয় পেনাল্টি। দলকে এগিয়ে নিতে ভুল করেননি প্যারিস ব্রুনের।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে শুরু থেকেই আক্রমণে যায় ফ্রান্স। এবারও হলো হিতের বিপরীত। ম্যাচের ৫১ মিনিটে ম্যাক্স মোরস্টেডের বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডারভিচ।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়লেও হাল ছাড়েনি ফ্রান্স। পাল্টা আক্রমণে গিয়ে দুই মিনিটের ব্যবধানে এক গোল শোধ দিয়ে আসে দলটি। সাইমন বোয়াব্রের দারুণ গোলে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় ফরাসিরা। তাদের সুযোগ করে দেয় জার্মান ফুটবলার ওসায়ে। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। ১০ জনের দলে পরিণত হয় জার্মানি। সুযোগ বুঝে আক্রমণে আরও গতি বাড়ায় ফ্রান্স।
একের পর এক আক্রমণে তখন কাঁপছে জার্মান রক্ষণ। তবুও যেন কিছুতেই গোল আসছিল না। কখনো গোলরক্ষকের অসাধারণ সেভ। কখনো বা প্রতিপক্ষের বাধা; অবশেষে ম্যাচের ৮৫ মিনিটে এসে গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। গোমিসের বাড়ানো বল ফাঁকায় দাড়িয়ে জালে জড়ান ম্যাথিস আমুগু। খানিক পরই অবশ্য পাল্টা আক্রমণে কপাল পুড়তে পারত ফ্রান্সের। ম্যাচের ঠিক ৯০ মিনিটে ফ্রান্সের সর্বনাশটা প্রায় করেই ফেলেছিলেন জার্মানরা। তবে তাদের সেই আক্রমণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফ্রান্সের গোলবার। আফসোস সঙ্গী করে টাইব্রেকারে যায় জার্মানরা। পরে অবশ্য হাসি মুখেই মাঠ ছেড়েছে দলটি।
টাইব্রেকারে ৫ বারের চেষ্টা দু’দলই দুটি করে মিস করায় ৬ নাম্বার শটে এসে ম্যাচ জিতে জার্মানি। উঁচিয়ে ধরে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ শিরোপা।