হাথুরুর অবজ্ঞার জবাব দিচ্ছেন নাসুম
মনেরে আজ কহ যে, ভালো মন্দ যাহাই আসুক; সত্যেরে লও সহজে। কেউ বা তোমায় ভালোবাসে; কেউ বা বাসতে পারে না যে-রবি ঠাকুরের বোঝাপড়া কবিতার এই নির্মম সত্যটা বোধয় মেনে নিয়েছেন নাসুম আহমেদও। বুঝে গেছেন লঙ্কান হাথুরুসিংহে মুল্লুকে খুব সহজে ফেরা হচ্ছে না তার। যতক্ষণ না পারফরম্যান্সে বাধ্য করছেন তাকে দলে জায়গা করে দিতে।
নাসুম কাজটা করছেন সেটা মাথায় রেখেই। হাথুরুর অবজ্ঞার জবাব দিচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে। তুলে নিয়েছেন নিজের হাতিয়ার ‘বল’। এরপর যা করতে হতো তাকে। নাসুম করেছেন সেটিই। পূর্বাঞ্চলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বল হাতে। দক্ষিণ অঞ্চলকে ২৮২ রানে গুড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে তার শিকার ৭৫ রানে পাঁচ উইকেট। মাত্র ৩০ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যা নাসুম করে দেখালেন দশম বারের মতো।
এদিন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আকাশে থাকা কালো মেঘগুলোও যেন সরে দাঁড়িয়েছিল নাসুমকে আলোকিত করতে। দীপ্তি ছড়ালেন নাসুমও। আগের দিনের ৭০ রানের জুটি গড়ে চেপে বসা মোহাম্মদ মিঠুনকে ফিরিয়ে করেন শুরু। নাসুমের ঘূর্ণিতে ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হয়েছে মিঠুনকে।
এরপর ৬ রানের ব্যবধানে রিভার্স সুইংয়ে বোকা বানিয়েছেন মার্শাল আইয়ুব, আফিফ হোসেন ও শেখ মেহেদি হাসানকে। আর শেষটা করেছেন দারুণ খেলতে থাকা মইনকে ফিরিয়ে। এরপর সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে মেতেছেন।
এ যেন বিশ্বকাপে হাথুরুর কাছে অবজ্ঞার জবাব। ঠিক এমন একটি ইনিংসই দরকার ছিল নাসুমের। জবাব দিতে হতো বহুল আলোচিত চর কাণ্ডের। নিউজিল্যান্ড সফরে সুযোগ না পাওয়ার। গত কদিনে যেই অপমান অবজ্ঞার শিকার হতে হয়েছে তাকে; সেই সবের। নাসুমদের যে এভাবে জবাব দেওয়া ছাড়া তেমন কিছু করারও নেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৪০২
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২৮২ (মাহমুদ ৮১, মিঠুন ৪৯, মইন ৪৭; নাঈম ২৬-৭-৫৯-২, রাজা ২৬-৪-৯০-৩, নাসুম ৩০.২-১২-৭৫-৫)
পূর্বাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৫ ওভারে ১/৩ (সৈকত ০, পারভেজ ০, অমিত ১*, নাসুম ০, ইয়াসির ০*; আল আমিন ১-১-০-১, মেহেদি ২-২-০-২)